চেম্বারের নতুন কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরে স্থগিতাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক


ডিসেম্বর ২৩, ২০২১
০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন


আপডেট : ডিসেম্বর ২৩, ২০২১
০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন



চেম্বারের নতুন কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরে স্থগিতাদেশ
উচ্চ আদালতে রিট

নির্বাচন নিয়ে অভিযোগের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সিলেট চেম্বার অব কমার্সের নতুন কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। একইসঙ্গে প্রেসিডিয়াম নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালককে (বাণিজ্য সংস্থা) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক আব্দুর রহমান জামিলের করা একটি রিট আবেদনের (নম্বর-১৩১০৯/২০২১) শুনানি শেষে বুধবার (২২ ডিসেম্বর) এ নির্দেশনা দেন বিচারপতি এম এনায়েতুর রহমান ও বিচারপতি মুস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী চঞ্চল কুমার বিশ্বাস এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ১৫ দিনের মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে হবে। নির্বাচন প্রক্রিয়া এখন যে অবস্থায় আছে সেভাবেই থাকবে। বিষয়টি নিষ্পত্তির আগ পর্যন্ত দায়িত্ব হস্তান্তরের সুযোগ নেই।’

প্রসঙ্গত, গত ১১ ডিসেম্বর সিলেট চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী দুই প্যানেল সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদ ও সিলেট সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ থেকে ১১ জন করে পরিচালক নির্বাচিত হন। এরপর ১৩ ডিসেম্বর নির্বাচিত পরিচালকদের মধ্য থেকে সভাপতি, সিনিয়র সহসভাপতি ও সহসভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। নির্বাচনে দুইজন সভাপতি প্রার্থী ছিলেন, তাদের একজন পরিচালক আব্দুর রহমান জামিল।

তবে, প্যানেলভিত্তিক বিধি ভঙ্গের অভিযোগে জামিল ও তার প্যানেলের সহ-সভাপতি প্রার্থী হুমায়ুন আহমদের প্রার্থীতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। এর প্রতিবাদে প্রেসিডিয়াম নির্বাচন বর্জন করে ১১ পরিচালক বেরিয়ে যান। একপক্ষের বর্জনের পর রাতেই সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের প্রার্থী তাহমিনকে আহমদকে সভাপতি এবং সিনিয়র সহসভাপতি পদে ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ ও সহসভাপতি হিসেবে আতিক হোসেনকে বিজয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এর বিরুদ্ধে আপীল বোর্ডে অভিযোগ দিলেও তা নাকচ হয়ে যায়।

এরপর গত সোমবার (২০ ডিসেম্বর) চেম্বারের নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালকের (বাণিজ্য সংস্থা) কাছে আবেদন করেন আব্দুর রহমান জামিল। কিন্তু, পরিচালক তাদের অভিযোগ গ্রহণ করলেও কোনো ব্যবস্থা নেননি। এর প্রেক্ষিতে ২১ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার চেম্বার নির্বাচন পরবর্তী কার্যক্রমের উপর অন্তবর্তীকালীন স্থগিতাদেশ চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে দুই বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার নতুন কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তন্তরসহ নির্বাচন পরবর্তী সব কার্যক্রমের উপর স্থগিতাদেশ দেন।

রিটকারী ১১ পরিচালকের একজন আব্দুল রহমান জামিল। তিনি বলেন, ‘চেম্বার নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের আচরণ ছিল পক্ষপাতমূলক। তারা অন্যায়ভাবে একটি পক্ষকে বিজয়ী করেছেন। আমরা এর বিরুদ্ধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দিয়েছি। এ অভিযোগের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত চেম্বারের নতুন কমিটির দায়িত্বগ্রহণের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

জামিলের রিটে যাদের বিবাদী করা হয়েছে- বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিচালক (বাণিজ্য সংস্থা), এফবিসিসিআই'র সালিশ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান, সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচনী আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান, নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার জলিল, দুই সদস্য অ্যাডভোকেট মিসবাউর রহমান আল, মো. সিরাজুল ইসলাম শামীম এবং সিলেট চেম্বারের সভাপতি।

এসএইচ/বিএ-০৯