জৈন্তাপুর প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ২৪, ২০২১
০৪:০৪ পূর্বাহ্ন
আপডেট : ডিসেম্বর ২৪, ২০২১
০৪:০৪ পূর্বাহ্ন
জৈন্তাপুরে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের পাশ কেটে পাথর উত্তোলন করছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীতকরণের নকশার ভেতরেই রয়েছে পাথরখেকোদের গর্তটি। উপজেলার শ্রীপুর আলুবাগান মোকামবাড়ি এলাকার এই স্থানে চলতি বছর উপজেলা প্রশাসন দুই দফায় অভিযান চালালেও অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধ করেনি চক্রটি।
জানা গেছে, আলুবাগান মোকামবাড়ী এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হান্নান এবং আব্দুল মোতালেব বাবু ও তাদের লোকজন সিলেট-তামাবিল জাফলং মহাসড়কের পাশের জায়গা থেকে ৫০ থেকে ৬০ ফুট গভীর গর্ত করে পাথর উত্তোলন করছেন। প্রতিদিন অন্তত ২০ থেকে ৩০ গাড়ি পাথর বিক্রি করা হচ্ছে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি অভিযান পরিচালনা করে আব্দুল হান্নানকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। গত ৭ নভেম্বর একই স্থানে আলুবাগান মোকামবাড়ি সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের পাশে অভিযান করে একটি গাড়ি জব্ধ করা হয় এবং দুটি পানির পাম্প আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়। অভিযান পরবর্তী সময়ে গাড়ির মালিক মো. আব্দুল হান্নানের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা এবং আব্দুল মোতালেব বাবুর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অভিযানের পর কিছুদিন পাথর উত্তোলন বন্ধ রাখার পর, পুনরায় পাথরখেকু চক্রটি পাথর উত্তোলন শুরু করে।
স্থানীয়রা বলছেন, পাথর উত্তোলন অব্যাহত থাকলে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের আলুবাগান অংশ যেকোনো সময় ধসে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। পাথর উত্তোলন বন্ধ করতে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে দ্রæত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ফারুক আহমেদ জানান, ‘শ্রীপুর আলুবাগান ও মোকামবাড়ি এলাকায় চলতি বছরে দুই দফা অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। পাথর উত্তোলন করার বিষয়ে স্থানীয়রা আমাকে জানিয়েছেন। দ্রুত ৩য় দফা অভিযান পরিচালনা করা হবে।’
আরকেএস/বিএ-০২