সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ২৬, ২০২১
০১:২৭ পূর্বাহ্ন
আপডেট : ডিসেম্বর ২৬, ২০২১
০১:২৭ পূর্বাহ্ন
সুনামগঞ্জ পৌর এলাকায় যত্রতত্র গড়ে উঠছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইকের অবৈধ স্ট্যান্ড। সড়কে এসব অস্থায়ী স্ট্যান্ড গড়ে ওঠায় বিপাকে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। যাত্রীর ডাক পড়লেই এসব যানবাহনের চাকা থামে যত্রতত্র। ফলে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা।
শহরের সবচেয়ে ব্যস্ততম এলাকা আলফাত স্কয়ার। এই চত্বর থেকে সড়ক গেছে তিন দিকে। ফলে এখানে সব সময়ই যানবাহনের ধীরগতি থাকে। অথচ এই চত্বরের চারপাশে গড়ে উঠেছে ইজিবাইক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার অবৈধ স্ট্যান্ড। ট্রাফিক পুলিশের সদস্য দেখভাল করলেও গাড়ি দাঁড় করানো থামছে না। একই অবস্থা শহরের কাজির পয়েন্ট, ষোলোঘর পয়েন্ট ও কোর্টের সামনের এলাকায়।
পৌরসভার বাসিন্দা জাহানুর আলম বলেন, ‘ছোট একটি শহর, অন্য শহরের মতো পর্যাপ্ত সড়ক নেই। একটি সড়ক রয়েছে শহরে প্রবেশ করার। এই সড়কের বিভিন্ন স্থানে টমটম ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ড গড়ে উঠেছে। এগুলো উচ্ছেদ না করলে ভোগান্তি বাড়তেই থাকবে।’
পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা অ্যাডভোকেট মাহবুবুল হাছান শাহীন বলেন, ‘যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং ও স্ট্যান্ড গড়ে তোলা বন্ধ করতে হবে। নইলে রাস্তায় জনতার ভোগান্তি কমবে না।’
সুনামগঞ্জ সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক)-এর সহসভাপতি অ্যাডভোকেট খলিল রহমান বলেন, ‘দিনের বেলা শহরে ট্রাক প্রবেশ নিষেধ। এটি খুবই ভালো উদ্যোগ। টমটম অবৈধ হলেও অনেকে জীবিকার তাগিদে সচল রেখেছেন। টমটম ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঠিক সংখ্যা বের করা দরকার। কয়টি শহরের ভেতর চলবে তা নির্ধারণ করে দেবে পৌরসভা। কিন্তু তারা এটা করছেন না। এর ফলে শহরে প্রায়ই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এ জন্য পৌরসভা ও ট্রাফিক বিভাগের উদাসীনতাই দায়ী।’
সুনামগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মীর মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘কোথাও অবৈধভাবে স্ট্যান্ড গড়ে উঠেছে কি না, সেটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেখাশোনা করবে। শহরের যানজট নিরসন করতে পৌরসভার প্রতিটি সড়ক প্রস্তুত করা হচ্ছে।’
সুনামগঞ্জের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. শামছুল আলম বলেন, ‘আমরা রাস্তায় শৃঙ্খলা বজায় রাখার চেষ্টা করছি। সুনামগঞ্জ শহরে কোথাও পার্কিং ব্যবস্থা নেই। এ কারণে এসব এলাকায় যে কেউ কেনাকাটা করতে এলে গাড়ি রেখে মার্কেটে যান। তবে আগের চেয়ে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। সবার সম্মিলিত উদ্যোগে শহরের পরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরবে।’
এসআরএ/বিএ-০১