ব্যালট পেপারে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি

বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি


ডিসেম্বর ২৮, ২০২১
১০:৪১ অপরাহ্ন


আপডেট : ডিসেম্বর ২৮, ২০২১
১০:৪১ অপরাহ্ন



ব্যালট পেপারে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ৪র্থ ধাপে বিয়ানীবাজার উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) দিনভর অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নির্বাচন চলার সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চেয়ারম্যান পদে ভোটের একটি ব্যালট পেপার ভাইরাল হয়েছে। যাতে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে লেখা ও সিল মারা ছিল। সোমবার দুপুর ১টার দিকে এমন একটি ব্যালট পেপারের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেন আখতার হোসেন লিমন নামে একজন ছাত্রদল নেতা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রবিবার সকাল ৮টা থেকে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকাল থেকে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতিতে চলে ভোট গ্রহণ। প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন হয়। নির্বাচনের প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, তিনটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী এবং অন্য সাতটি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচনের পরদিন সোমবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ৭নং মাথিউরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মাথিউরা ফাযিল মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনের একটি ব্যালট পেপার ভাইরাল হয়।

এতে লেখা ছিল ‘দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’।

ব্যালটে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি সম্বলিত সিলটি মেরেছেন সিলেট জেলা ছাত্রদলের সহ সাংগঠিক সম্পাদক আখতার হোসেন লিমন।

ব্যালটের ছবিটি ফেসবুকে প্রকাশের পর তার সেই পোস্টে একটি মন্তব্য জুড়ে দেন। তাতে লেখা ছিল ”দল যখন বলেছিল ইউনিয়ন নিবাচনে যাবে না তখন থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি নির্বাচন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিবার এবং তা পালন ও করেছি। নেত্রীর মুক্তির জন্য জেল-জুলুম শিকার করতে হচ্ছে সেজন্য ভোটের দিন আমার এই ব্যাতিক্রম প্রতিবাদ।

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সারাদেশে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বিভিন্নভাবে আন্দোলন করছেন বলে মন্তব্য স্থানীয় বিএনপির একাধিক নেতার।

তারা বলছেন, অতি উৎসাহী বা আবেগী কোন নেতাকর্মী এ কাজ করতে পারেন। বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাচন অফিসার সৈয়দ কামাল আহমদ বলেন, এমন ব্যালট পাওয়া গেলে তা বাতিল বলে গণ্য করা হয়। এই ব্যালটটাও বাতিল করা হয়েছে।

এস এ/বি এন-১০