মাধবপুরে প্রথমবার ভোট দিতে এসে জানলেন ‘ভোট দেওয়া’

সৈয়দ হাবিবুর রহমান ডিউক, শায়েস্তাগঞ্জ


জানুয়ারি ০৫, ২০২২
১১:৫১ অপরাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ০৫, ২০২২
১১:৫৭ অপরাহ্ন



মাধবপুরে প্রথমবার ভোট দিতে এসে জানলেন ‘ভোট দেওয়া’

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় অনুষ্ঠিত হওয়া ইউপি নির্বচনে একাধিক জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জীবনে প্রথমবার ভোট দিতে আসা ভোটাররা কেন্দ্রে এসে জানতে পারেন তাদের ভোট দেওয়া হয়ে গেছে। একাধিক জাল ভোট হাতেনাতে ধরিয়ে দিলেও প্রিজাইডিং অফিসাররা কোনো ব্যবস্থা নেননি বলেও অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,  উপজেলার বুল্লা ইউনিয়নের ২ নম্বর  ওয়ার্ডের বানেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ে ও ১ নম্বর ওয়ার্ডের বানেশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছিল জাল ভোটের ছড়াছড়ি, আনারস প্রতিক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করা মিজানুর রহমান এক আধিপত্য কাটিয়েছেন বেশ কয়েকটি সেন্টারে, এই দুইটি ওয়ার্ডে নিয়েছেন হোম এডভান্টেজের সুবিধা।

২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মফিজ মিয়ার ছেলে মো. জুয়েল মিয়া জীবনের প্রথম ভোট দিতে এসে ভোট দিতে পারেননি।

বুধবার (৫ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টায় ভোট দিতে আসেন তিনি। জুয়েল মিয়া টোকেন নিয়ে আসলে পোলিং অফিসার জানান, তার ভোট দেওয়া হয়ে গেছে। পরে এ বিষয়টি সংবাদকর্মীদের জানান তিনি। তখন প্রিজাইডিং অফিসার জয়ধন সরকার, বলেন তিনি বিষয়টি দেখছেন। এসময় আনারস মার্কার এজেন্টরা সাংবাদিকদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন, তখন ও তিনি কোনো ভূমিকা নেননি।  

এ ব্যাপারে স্থানীয় সুশীল ব্যাক্তিত্ব বুলবুল আহমেদ চৌধুরী জানান, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক, এরকম ঘটনায় সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়, প্রিজাইডিং অফিসারের উচিত ছিল কে জাল ভোট দিয়েছে সেটা খুজে বের করা অথবা এই ভোটটি বাতিল করা।

এ বিষয়ে হবিগঞ্জ জেলা প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা সাদেকুল ইসলাম বলেন, আমি এই বিষয়টি জানিনা, তাৎক্ষণিকভাবে আমাকে জানালে আমি সরাসরি একশনে যেতাম, আমি এইজন্য দুঃখপ্রকাশ করেছি। হবিগঞ্জ জেলার সকল সাংবাদিকরা আমাদেরকে এত ভালভাবে সহযোগিতা করেছেন তা আমরা দেখে আসছি।  ঠিক কি কারণে জাল ভোট দেওয়া হল,  আমি এ ব্যাপারে বানেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রিজাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।

আরসি-১৬