কমলগঞ্জে পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে জমে উঠেছে মাছের মেলা

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি


জানুয়ারি ১৩, ২০২২
০১:৫৫ অপরাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ১৩, ২০২২
০১:৫৫ অপরাহ্ন



কমলগঞ্জে পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে জমে উঠেছে মাছের মেলা

বাঙ্গালীর চিরায়ত সংস্কৃতি পৌষ-সংক্রান্তি উৎসব উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) কমলগঞ্জের বিভিন্ন হাটবাজারে বসেছে মাছের মেলা। পৌষ সংক্রান্তির আগের দিন (পিঠা-চিড়ার দিন) থাকায় বছরের এদিনে হাটবাজারে বড় বড় মাছের দেখা মেলে। এতে সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকেরা যেমন ব্যস্ততায় দিন কাটাচ্ছেন, তেমনি বাজারে মাছ কিনতে অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষের ভিড়ও দেখা গেছে। নারী ক্রেতাদের উপস্থিতিও দেখা গেছে। কেউ আসছেন মাছ কিনতে, আবার কেউ বিভিন্ন ধরণের বড় আকারের মাছ দেখতে।

যুগ যুগ ধরে চলে আসা এই রেওয়াজকে ধারণ করে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে কমলগঞ্জের ভানুগাছ, শমশেরনগর, আদমপুর ও মুন্সীবাজারে বসা বিশাল মাছের মেলায় বিভিন্ন জাতের বড় আকারের মাছ সাজিয়ে বসেন মাছ বিক্রেতারা। একদিনের এই মেলা চলবে মধ্য রাত পর্যন্ত।

দুপুরে ভানুগাছ বাজারের মাছের মেলা ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি মাছের দোকানে বড় আকারের মাছ সাজিয়ে রাখা হয়েছে। মেলায় উঠেছে বোয়াল, কাতল, চিতল, রুই, কাতলা, নারিং সহ প্রায় সব ধরনের মাছ। ৫ কেজি ওজন থেকে শুরু করে ১৫-২০ কেজি ওজনের মাছ বিক্রি হচ্ছে মেলায়। সহজে হাট-বাজারে পাওয়া যায় না- এমন মাছও সাজিয়ে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে। প্রতিটি মেলায় বেশ চড়া দাম হাঁকাচ্ছেন মাছ-বিক্রেতারা। 

ভানুগাছ বাজারের মাছ-বিক্রেতা আরমান মিয়া এবারের মেলায় ১৬ কেজি ওজনের বোয়াল মাছ ও ২০ কেজি ওজনের বাউশ (কাতল) মাছ নিয়ে বসেছেন। তিনি বোয়াল মাছটির দাম হাঁকছেন ১৫ হাজার টাকা। ক্রেতারা ওই মাছ ১০ হাজার টাকা বললেও তিনি মাছটি বিক্রি করেননি। বাউশ মাছের দাম হাঁকছেন ১০ হাজার টাকা। মাছ ব্যবসায়ী মফিজ মিয়া জানান, ১৫ কেজি ওজনের নারিং মাছের দাম ২৪ হাজার টাকা হাঁকছেন। মাছটি ২০ হাজার টাকা বলার পরও তিনি বিক্রি করেননি। ১৬শ টাকা কেজি দরে তিনি মাছের দাম হাঁকছেন। আরেক মাছ বিক্রেতা রুশন মিয়া বলেন, ১২ কেজি ওজনের গাগট মাছের দাম হাঁকছেন ৩০হাজার টাকা ও ১০ কেজি ওজনের চিতল মাছের দাম হাঁকছেন ১৬ হাজার টাকা। 

বাজারে আগত ক্রেতারা জানান, মেলায় নানা জাতের বড় আকারের মাছ উঠলেও দাম বেশ চড়া। বিক্রেতাদের সঙ্গে দরাদরি করে মাছ কিনে নিতে হয়। অনেকে আবার দামের সাথে পাল্লা দিতে না পেরে ছোট আকারের মাছ নিয়েই বাড়ি ফিরছেন।

মাছ বিক্রেতারা বলেন, দাম বড় কথা নয়। ম‚লত ক্রেতাদের আকর্ষিত করে মেলায় বড় আকারের মাছ সরবরাহ করা হয়। বেশ চড়া দাম বলা হলেও ক্রেতারা দরাদরি করে পরে সহনীয় পর্যায়ে হলে কিনে নিচ্ছেন।

এস ডি/বি এন-০৩