নিজস্ব প্রতিবেদক
জানুয়ারি ২৩, ২০২২
১১:৫৫ অপরাহ্ন
আপডেট : জানুয়ারি ২৩, ২০২২
১১:৫৫ অপরাহ্ন
মৃত্যুর চেয়ে বড় আর কোনো আন্দোলন হতে পারে না বলে জানিয়েছেন উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আজ রবিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে সংবাদ সম্মেলনকালে গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষার্থীরা এ কথা বলেন।
অনশনের পর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি কি হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি, আমাদের দাবি আদায়ের জন্য অহিংস আন্দোলন করছি আমরা। সেজন্য গণঅনশনে বসেছি। অহিংস আন্দোলনে মৃত্যুর চেয়ে বড় আন্দোলন বা প্রতিবাদ কিছু হতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমাদের যদি মৃত্যুবরণ করতে হয়ে, আমরা মৃত্যুবরণ করতে রাজি।’
এর আগে, রাত ২টার দিকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে বৈঠকে বসেন শাবিপ্রবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠক কোনো ধরণের ফলাফল ছাড়াই শেষ হয়। তাই আজ ফের শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল।
সে বৈঠক নিয়ে জানতে চাইলে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা নাদেল ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলে জানিয়েছি, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চাই। কিন্তু এ বিষয়ে তিনি এখন পর্যন্ত আমাদের কিছু জানাননি।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, রাতে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আমরা পদত্যাগের বিষয় নিয়ে কথা বললে তিনি আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের কথা বলেছেন। বলেছেন আলোচনার সুযোগ আছে। তখন আমরা বলেছি, নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে ধাবিত হওয়া ২৭ জন শিক্ষার্থীর জীবন বড় নাকি একজন উপাচার্যের পদ টিকিয়ে রাখা বড়? এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী আমাদের কোনো জবাব দেননি।
গত ১৪ জানুয়ারি আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের অভিযোগ, বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলে নানা সমস্যা রয়েছে। এসব সমস্যার সমাধান চেয়ে তাঁরা হলের প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক জাফরিন আহমেদকে ফোন করেন। প্রভোস্টকে ফোন দিলে তিনি বলেন, ‘বের হয়ে গেলে যাও, কোথায় যাবে? আমার ঠেকা পড়েনি। ’ শিক্ষার্থীরা বিষয়টি জরুরি উল্লেখ করলে তিনি বলেন ‘কিসের জরুরি? কেউ তো আর মারা যায়নি!’
এরপর প্রভোস্টের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন ছাত্রীরা। প্রভোস্টের পদত্যাগের ওই আন্দোলন শিক্ষার্থী-পুলিশ সংঘর্ষের জেরে পরবর্তীতে ভিসির পদত্যাগ আন্দোলনে রূপ নেয়।
আরসি-১৪