উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিকে 'অযৌক্তিক' বললেন শিক্ষা উপমন্ত্রী

সিলেট মিরর ডেস্ক


জানুয়ারি ২৪, ২০২২
০২:১৯ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ২৪, ২০২২
০২:১৯ পূর্বাহ্ন



উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিকে 'অযৌক্তিক' বললেন শিক্ষা উপমন্ত্রী

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবির আন্দোলনকে ‘অযৌক্তিক’ বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। 

তিনি বলেছেন, শিক্ষার্থীদের এমন দাবি সম্পর্কে রাষ্ট্রের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়।

উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগের দাবিতে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা গত কয়েকদিন ধরে যে আন্দোলন করছেন সে ব্যাপারেই একটি বৃটিশ গণমাধ্যমের কাছে এমন বক্তব্য দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী।

তিনি বলেছেন, ‘অতি উৎসাহী হয়ে অযৌক্তিক দাবি যদি উপস্থাপিত হয় এবং কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ ব্যতীত, এমন অযৌক্তিক দাবির প্রেক্ষিতে কোনো তড়িৎ সিদ্ধান্ত নেওয়া রাষ্ট্রের পক্ষে সম্ভব নয়।’

তিনি বলেন, ‘মন্ত্রী মহোদয়ের পর্যায় থেকে আলোচনা করা হচ্ছে। সেই আলোচনার পর আমরা যেটা বুঝতে পারছি এখানে ইগো সমস্যা বেশি, বাস্তব সমস্যার চেয়ে।’

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা গত এক সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করছেন। রাতে শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনির সঙ্গে আলোচনার পর আজ শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তারা বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন।

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘আচার্য নিয়োগকৃত একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন উপাচার্যকে চাইলেই সরিয়ে দেওয়া যায় না। সবাইকে একটা আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ সঠিকভাবে উপস্থাপন করলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। কিন্তু কোন অর্থনৈতিক বিষয়ে কোন অভিযোগ তারা তুলতে পারেনি।’

উপমন্ত্রী বলেন, ‘কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ব্যতীত আমরা তো তাকে বাদ দিতে পারি না। যেভাবে সমাধান চাওয়া হচ্ছে যে ভিসিকে এখনই চলে যেতে হবে - সেটা কাম্য নয়।’

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের 'একেবারেই অনমনীয়' উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলার বিষয় আছে। চাইলেই একজন উপাচার্যকে চলে যেতে বলতে পারি না। এই আন্দোলন করা সমীচীন নয়। এটা বুঝতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাংকিং অনেক উন্নত হয়েছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে। বারবার আলোচনার পরও তারা যদি সঠিক পথে না আসে তাহলে শিক্ষার্থীই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

কিভাবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সমাধানের উপায় তো এটা নয় যে তারা যা চায় তাই আমরা করবো। তিনি শিক্ষার্থীদের অধীনে চাকরি করেন না। তিনি কি শিক্ষার্থীদের ইচ্ছামতো চলে যাবেন?’

আরসি-১৯