রাতে বিদ্যুৎহীন ছিলেন না শাবি উপাচার্য

নিজস্ব প্রতিবেদক


জানুয়ারি ২৪, ২০২২
০৫:৫৮ অপরাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ২৪, ২০২২
০৬:০৩ অপরাহ্ন



রাতে বিদ্যুৎহীন ছিলেন না শাবি উপাচার্য

অনশনের ১০০ ঘণ্টা পরেও উপাচার্য পদত্যাগ না করায় অহিংস কঠোর হয় শাবিপ্রবির আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মানবপ্রাচীর গড়ে প্রথমে বন্ধ করে দেন উপাচার্য ভবনে যাতায়াত ব্যবস্থা। পরে রাতে বিচ্ছিন্ন করা হয় বিদ্যুৎ-গ্যাস ও পানির সংযোগ। তবে রাতে একেবারেই বিদুৎহীন থাকতে হয়নি তাকে। ব্যবস্থা করা হয়েছিল জেনারেটরের।

গভীর রাত পর্যন্ত উপাচার্য ভবনে ছিলেন শাবির কর্মকর্তা অ্যাসোসিয়েশনের এক শীর্ষ নেতা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সকালে তিনি জানান, রবিবার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পরই উপাচার্য ভবনে জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে পানিরও ব্যবস্থা হয়েছে। ফলে রবিবার রাতে তাকে বিদ্যুৎহীন থাকতে হয়নি।

ওই কর্মকর্তা বলেন, উপাচার্যের বাসার জেনারেটরে তেলের মজুত পর্যাপ্ত নয়, যা আছে তা দিয়ে আজকের দিন পর্যন্ত চলতে পারে। এই অবস্থা দীর্ঘায়ত হলে সমস্যায় পড়তে হবে। তা ছাড়া আন্দোলনকারীরা বাইরে থেকে কাউকে ভেতরে ঢুকতেও দিচ্ছে না। ফলে তেল শেষ হলে বাইরে থেকে নিয়ে যাওয়া যাবে না।

উপাচার্য সুস্থ আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কিছুটা দুশ্চিন্তায় তো আছেনই। তা ছাড়া তার হার্টের অসুখও আছে।’

পদত্যাগ দাবির বিষয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘এ বিষয়ে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন।’

এদিকে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, পদত্যাগ না করা পর্যন্ত এভাবেই উপাচার্যকে অবরুদ্ধ রাখা হবে।

গত ১৪ জানুয়ারি আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের অভিযোগ, বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলে নানা সমস্যা রয়েছে। এসব সমস্যার সমাধান চেয়ে তাঁরা হলের প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক জাফরিন আহমেদকে ফোন করেন। প্রভোস্টকে ফোন দিলে তিনি বলেন, ‘বের হয়ে গেলে যাও, কোথায় যাবে? আমার ঠেকা পড়েনি। ’ শিক্ষার্থীরা বিষয়টি জরুরি উল্লেখ করলে তিনি বলেন ‘কিসের জরুরি? কেউ তো আর মারা যায়নি!’

এরপর প্রভোস্টের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন ছাত্রীরা। প্রভোস্টের পদত্যাগের ওই আন্দোলন শিক্ষার্থী-পুলিশ সংঘর্ষের জেরে পরবর্তীতে ভিসির পদত্যাগ আন্দোলনে রূপ নেয়।

আরসি-১১