সিলেট মিরর ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২২
০২:০৫ পূর্বাহ্ন
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২২
০২:০৫ পূর্বাহ্ন
চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৫০০ টাকা নির্ধারণসহ ১১ দফা দাবিতে সিলেটে মিছিল ও সমাবেশ করেছে চা শ্রমিক অধিকার আন্দোলন। আজ শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এ মিছিল-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
অবিলম্বে নতুন চুক্তি সম্পাদন, প্রতিটি বাগানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন, চা শ্রমিকদের ভূমি ও স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিত করা, ২০ মে কে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘চা শ্রমিক দিবস’ পালন সহ ১১ দফা দাবিতে মাসব্যাপী আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ মিছিল-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চা শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহবায়ক হৃদেশ মুদির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন সিলেট জেলার সমন্বয়ক সুশান্ত সিনহা সুমন, গনতান্ত্রিক শ্রমিক আন্দোলন সিলেট জেলার আহবায়ক অ্যাডভোকেট মহীতোষ দেব মলয়, চা শ্রমিক নেতা সন্তোষ বাড়াইক, সন্তোষ নায়েক, মিতা সিং, অরুন মোদি, হরি সবর, আজিরুন বেগম, অজয় বাউড়ি, সজল গোয়ালা প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘চা শ্রমিকরা আজ যেমন সব রকম মানবিক ও নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত তেমনি শ্রমিক অধিকার থেকেও বঞ্চিত। চা শ্রমিকরা দেশের শোষিত নিপীড়িত শ্রমজীবী মানুষের সবচেয়ে বঞ্চিত অংশ। মালিকি ব্যবস্থায় চা শ্রমিকদের প্রতি রাষ্ট্রীয় বৈষম্য পুরনো দাস সমাজব্যস্থারই নামান্তর। প্রায় ১৭০ বছর ধরে চা শ্রমিকরা বাগানে বসবাস করলেও এখনও তারা ভূমির অধিকার থেকে বঞ্চিত।
তিনি আরও বলেন, দেশে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আর উন্নয়নের ডামাডোল বাজানো হচ্ছে, অথচ স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়েও চা শ্রমিকদের পর্যাপ্ত শিক্ষা, চিকিৎসা, স্যানিটেশন, কর্মক্ষেত্রে নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র, উৎসব ছুটি তো দুরের কথা পরিবার পরিজন নিয়ে চলার মতো ন্যায়সংগত মজুরি আজও নিশ্চিত হয়নি। ২০১৯-২০২০ সালের চুক্তির মেয়াদ ২০২০ সালের ৩১শে ডিসেম্বর শেষ হলেও নতুন চুক্তি এখনো সম্পাদন করা হয়নি।’
বক্তারা আরও বলেন, ‘চা শ্রমিকদের নতুন চুক্তি সম্পাদন এবং বাজার দরের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দৈনিক মজুরি ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা এখন সময়ের দাবি। চা শ্রমিকদের লড়াই করে অধিকার আদায়ের গৌরব-গাঁথা ইতিহাস আছে। লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমেই চা শ্রমিকদের ন্যায়সংগত অধিকার আদায় করতে হবে।’
বক্তারা চা শ্রমিক অধিকার আন্দোলন ঘোষিত ১১ দফা দাবির ভিত্তিতে চা শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলার আহবান জানান।
এনএইচ/আরসি-১৪