শিশু সাবিহা হত্যা : অভিযুক্ত মা তিন দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক


ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২
১১:৪১ অপরাহ্ন


আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২
১২:০৩ পূর্বাহ্ন



শিশু সাবিহা হত্যা : অভিযুক্ত মা তিন দিনের রিমান্ডে

সিলেটের খাদিমনগরে দেড় বছরের শিশু সাবিহা হত্যার ঘটনায় তার মা নাজমিন আক্তারের বিরুদ্ধে তিন দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালাত।

আজ বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) শুনানি শেষে সিলেট মহানগর হাকিম দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. সুমন ভূইয়া রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান। 

আজ বিকেল ৩টার দিকে নিহত সাবিহার মা নাজমিন বেগমকে সিলেট মহানগর হাকিম দ্বিতীয় আদালতে হাজির করে শাহপরান থানা পুলিশ। ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার কথা থাকলে আদালতে জবানবন্দি দিতে তিনি রাজি হননি। পরে তার পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মো. সুমন ভূইয়া তিন দিনের রিমাণ্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান। 

এদিকে শিশু সাবিহার ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ আজ গ্রহণ করেন তার বাবা সাব্বির হোসেন। পরে বাদ আসর জানাজা শেষে দক্ষিণ সুরমা থানার বলদি এলাকায় পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাব্বির হোসেন।

এর আগে বুধবার গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সাবিহাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শিশুর নাম নুসরাত জাহান সাবিহা। সে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা বলদি গ্রামের বাসিন্দা ও কাতার প্রবাসী সাব্বির হোসেনের মেয়ে। নাজমিন জাহান গোলাপগঞ্জ উপজেলার ১১ নং দক্ষিণ বাদেপাশা ইউনিয়নের কালিকৃষ্ণপুর গ্রামের জিয়া উদ্দিনের মেয়ে। 

সাবিহার মৃত্যুর পর বিকালে অভিযুক্ত মা নাজমিন জাহান পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করেন। তিনি হত্যার কথা স্বীকার করলে পুলিশ তাকে আটক করে। পরে তাকে শাহপরাণ (র.) থানায় হস্তান্তর করা হলে তার স্বামী সাব্বির হোসেন বাদী হয়ে ওই রাতেই হত্যা মামলা দায়ের করেন।

নাজমিনের অভিযোগ, স্বামীর অবহেলার জন্য তিনি মানসিকভাবে বিপর্যত হয়ে এ কাজ করেছেন। থানায় আত্মসমর্পন করে নাজমিন জাহান বলেন, 'আমার স্বামী বিভিন্ন মেয়েদের সঙ্গে মেলামেশা করেন। এবার বিদেশ থেকে এসেও তিনি আমার সঙ্গে থাকার প্রয়োজন মনে করেননি। তাই আমি ক্ষোভে আমার মেয়েকে বালিশ চাপায় দিয়েছিলাম। এতে সে আহত হলে হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। এজন্য আমি দায়ী, আমার ফাঁসি হোক।'

নাজমিনের স্বামী সাব্বির হোসেন জানান, ২০১৫ সালে প্রেম করে নাজমিন জাহানকে বিয়ে করেন তিনি। শুরু থেকেই নাজমিন সাব্বিরের পরিবারের সঙ্গে থাকতে অসম্মত ছিলেন। মাঝেমধ্যে স্বামীর বাড়িতেও যেতেন। গত জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি তিনি দেশে আসেন। দেশে আসার পর তিনি স্ত্রীকে বাড়িতে নিতে চাইলে সে সম্মত হয়নি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ চলছিল। 


এএফ/০২