নতুন প্রজন্মের মাঝে মাতৃভাষার চেতনা ছড়িয়ে দিতে হবে

সিলেট মিরর ডেস্ক


ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২২
১২:২৪ পূর্বাহ্ন


আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২২
১২:২৮ পূর্বাহ্ন



নতুন প্রজন্মের মাঝে মাতৃভাষার চেতনা ছড়িয়ে দিতে হবে
মাতৃভাষা দিবসে মহানগর আ.লীগের আলোচনা সভায়

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেছেন, ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগ আমরা কখনো ভুলতে পারবো না। সে জন্য পৃথিবীর সকল জায়গায় বাংলা ভাষাকে আরও বেশি প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। নবপ্রজন্মের মাঝে মাতৃভাষার চেতনা ছড়িয়ে দিতে হবে। তাহলেই মাতৃভাষার সম্মান অক্ষুণ্ণ থাকবে। 

আজ সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০.০০ ঘটিকায় চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহানগর আওয়ামী লীগ শ্রদ্ধা নিবেদন করে। দুপুর ১২ টায় তালতলাস্থ গুলশান সেন্টারে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের ইউনিট কমিটির প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ওয়ার্ডসমূহের নেতৃবৃন্দকে ইউনিট কমিটি গঠনে আরও বেশি তৎপর হতে হবে। সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হতে হবে। ওয়ার্ডের মধ্যে যারা গ্রহণযোগ্য ও ভালো মানুষ তাদেরকে কমিটিতে স্থান দিতে হবে। পাড়ায় পাড়ায় ইউনিট গঠন করে সবার মাঝে ঐক্য তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক নিয়মনীতি অনুসরণ করে আওয়ামী লীগকে এগিয়ে নিতে হবে। ঐক্যবদ্ধ থাকলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত এবং জননেত্রী শেখ হাসিনা'র নেতৃত্বে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। 

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. জাকির হোসেনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জি.এম জেড কয়েছ গাজী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট গোলাম সোবহান চৌধুরী, কার্যনির্বাহী সদস্য এমরুল হাসান, উপদেষ্টা কানাই দত্ত, যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাস মিঠু, ১১ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি সালউদ্দিন বক্স সালাই।


বক্তারা বলেন, ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ বেনিয়াদের হাত থেকে পাকিস্তান নামে যে রাষ্ট্র পেয়েছিলাম তা ছিল আমরা বাঙালীদের জন্য মেকি স্বাধীনতা ।পাকিস্তানি দুঃসাহস ও বঞ্চনা থেকে মুক্তি পেতে  ১৯৪৮ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর ১৩ জানুয়ারি বাংলা ভাষা করার দাবিতে প্রথম লিফলেট প্রচার করেন তিনি। এরপর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে স্বাধীকার আন্দোলনের বৃক্ষরোপণ করা হয়। পরবর্তীতে ৬৬'এর ৬-দফা, ৬৯'এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০'এর নির্বাচন ও ৭১'এর মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে একটি রাষ্ট্র পেয়েছি। এই মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সিলেটের জাতীয় নেতৃবৃন্দেরও অবদান ছিলো। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জিয়াউর রহমান ও খন্দকার মোশতাকের নেতৃত্বে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। জাতির পিতাকে হত্যার মাধ্যমে দেশের অগ্রযাত্রাকে দমিয়ে রাখার অপপ্রয়াস চালানো হয়। তবে ১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশে ফিরে আওয়ামী লীগ তথা জাতির হাল ধরেছিলেন। তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। আজ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ। সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগও অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিতভাবে গুণগত পরিবর্তনের মাধ্যমে সকল অপশক্তিকে প্রতিহত করে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে একুশের চেতনায় কাজ করে যাওয়ার শপথ নিতে হবে।

এসময়ে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, বিজিত চৌধুরী, মো. সানাওর, জগদীশ চন্দ্র দাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, বিধান কুমার সাহা, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বেলাল উদ্দিন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, দপ্তর সম্পাদক খন্দকার মহসিন কামরান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নজমুল ইসলাম এহিয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুর রহমান জামিল, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সেলিম আহমদ সেলিম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াছ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ হোসেন রবিন,সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ শামীম আহমদ, ডা. আরমান আহমদ শিপলু, উপ-দপ্তর সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্ত্তী রনি, সহ-প্রচার সম্পাদক সোয়েব আহমদ।

মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্যবৃন্দ আজম খান আব্দুল আহাদ চৌধুরী মিরন, মো. আব্দুল আজিম জুনেল, মুক্তার খান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহিদ সারোয়ার সবুজ, রাহাত তরফদার, সৈয়দ কামাল, সাইফুল আলম স্বপন, তাহমিন আহমেদ তাকু, রোকসানা পারভীন, তৌফিক বক্স লিপন, খলিল আহমদ, আবুল মহসিন চৌধুরী মাসুদ,  প্রকৌশলী আতিকুর রহমান সুহেদ, শিপা বেগম শুপা, রকিবুল ইসলাম ঝলক। 

মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল মালিক, আব্দুল মালিক সুজন, এনাম উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সত্যেন্দ্র দাস তালুকদার খোকা বাবু, মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুশফিক জায়গীরদার, যুক্তরাজ্য যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল খান, খাজাঞ্চি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আরশ আলী। 

ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ হায়দার মো. ফারুক, মুহিবুর রহমান সাবু, মাহবুবুর রহমান মবু, নিজাম উদ্দিন ইরান, অ্যাডভোকেট আরিফ আহমদ, মুফতি আব্দুল খাবির, তাজ উদ্দিন লিটন, জাহিদুল হোসেন মাসুদ, জায়েদ আহমেদ খাঁন সায়েক, অ্যাডভোকেট মোস্তফা দিলোয়ার আল আজহার, শেখ সুরুজ আলম, মো. বদরুল ইসলাম বদরু, মানিক মিয়া, অ্যাডভোকেট বিজয় কুমার দেব বুলু, আহমেদ হান্নান, মাহবুব খান মাসুম, ফজলে রাব্বি মাসুম, শেখ সোহেল আহমদ কবির, সেলিম আহমদ সেলিম,  এম এন ইসলাম, মো. ছয়েফ খাঁন, সোয়েব বাসিত প্রমুখ।

আরসি-১৩