ঢাকা-লন্ডন নিরাপত্তা সংলাপ আজ, থাকছে ইউক্রেন ইস্যু

সিলেট মিরর ডেস্ক


মার্চ ০২, ২০২২
০১:৫৩ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মার্চ ০২, ২০২২
০১:৫৩ পূর্বাহ্ন



ঢাকা-লন্ডন নিরাপত্তা সংলাপ আজ, থাকছে ইউক্রেন ইস্যু

প্রথম বারের মতো নিরাপত্তা সংলাপে বসছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য। এর মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক কৌশলগত মাত্রায় উন্নীত হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আজ বুধবার (২ মার্চ) ঢাকায় এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইউক্রেনসহ বিশ্ব ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা, সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকায়নে সহযোগিতা ও যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশের অস্ত্রসহ সামরিক সরঞ্জাম কেনার বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, সংলাপে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ মশিউর রহমান। অন্যদিকে ব্রিটিশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণায়ের পরিচালক ইন্দো প্যাসিফিক ট্রিস উইলসন।

গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর লন্ডনে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের কৌশলগত সংলাপে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ওই বছরের পরের দিকে প্রতিরক্ষা সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। দুই দেশের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে এ সংলাপ আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, সংলাপে দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা ও সামরিক ইস্যু, সফর, যৌথ অনুশীলন, প্রশিক্ষণ কর্মশালা, প্রতিরক্ষা ক্রয় ও সরবরাহ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বিশদ পরিসরে আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি হবে। দুই দেশের মধ্যে প্রশিক্ষণ, সামরিক প্রশিক্ষণ খাতে সহযোগিতা রয়েছে। আগামী দিনগুলোতে এটি আরো জোরালো হবে বলে উভয় পক্ষ আশা করছে।

এদিকে ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাজ্য সরাসরি ইউক্রেনকে সমর্থন ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশন ইউক্রেনের প্রতি সহমর্মিতা জানানোর অংশ হিসেবে ইউক্রেনের পতাকা উত্তোলন করেছে। ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন এক টুইট বার্তায় ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলাকে অবৈধ বলে অভিহিত করেছেন।  

রাশিয়া ও ইউক্রেন—দুই দেশের সঙ্গেই বাংলাদেশের সুসম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশ ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং এ নিয়ে বিশ্বের প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে ‘বিশেষ অভিযান’ শুরুর দিনই ইউক্রেনে সহিংসতা বৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ।

ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেদিন এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই ধরনের সহিংসতা পুরো অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতায় মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। তাই আমরা সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম, বৈরিতার অবসান ঘটিয়ে এবং কূটনীতি ও আলোচনায় ফিরে আসার মাধ্যমে এই সংকট সমাধানের চেষ্টা করার আহ্বান জানাই।’

আরসি-০৩