মোগলাবাজার এলাকায় ২২টি অবৈধ স্থাপনা

নিজস্ব প্রতিবেদক


মার্চ ০৩, ২০২২
০১:২৭ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মার্চ ০৩, ২০২২
০১:২৭ পূর্বাহ্ন



মোগলাবাজার এলাকায় ২২টি অবৈধ স্থাপনা
জালালাবাদ গ্যাসের উচ্ছেদ অভিযান

সঞ্চালন লাইনের উপর নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আবারও অভিযান পরিচালনা করেছে জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড। আজ বুধবার (২ মার্চ) সকাল থেকে দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার থেকে খালেরমুখ পর্যন্ত আট কিলোমিটার এলাকায় অভিযানে ছোট-বড় ২২টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মাখন চন্দ্র সূত্রধর ও জালালাবাদ গ্যাসের টাস্কফোর্সের সদস্য সচিব মো. আমিরুল ইসলাম।

জালালাবাদ গ্যাস জানিয়েছে, ফেঞ্চুগঞ্জ-দেবপুর উচ্চচাপ বিশিষ্ট পাইপ লাইনের পাশাপাশি আবাসিক এলাকায় জালালাবাদ গ্যাসের অধিগ্রহণকৃত কয়েকশ একর ভূমি রয়েছে। গ্যাস নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী উচ্চ চাপবিশিষ্ট গ্যাস পাইপলাইনের উভয় পাশে নূন্যতম ১০ ফুট করে মোট ২০ ফুট জায়গায় কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করা বিধিবর্হিভূত। জালালালাবাদ গ্যাসের আওতাধীন চারশ কিলোমিটার লাইনের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ স্থাপনা রয়েছে।

গতকাল পর্যন্ত ছয় দফা অভিযানে ৩৪ কিলোমিটার লাইনের উপর স্থাপিত কয়েকশ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। বুধবার উচ্ছেদ করা হয়েছে ২২টি; যার মধ্যে সীমানা প্রাচীর, ভবন, টিনসেড ঘর এবং দোকানকোঠা রয়েছে।

এর আগে, গত বছরের ১৬ মার্চ, ২৬ আগস্ট, ১৫ সেপ্টেম্বর, ১ নভেম্বর এবং ২ নভেম্বর পাঁচ দফা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। এ সব অভিযানের মাধ্যমে ২৬ কিলোমিটার পাইপলাইনের ভূমি অবৈধ পাইপ লাইন দখলমুক্ত করা হয়।

জালালাবাদ গ্যাসের টাস্কফোর্সের সদস্য সচিব মো. আমিরুল ইসলাম জানান, গ্যাস লাইনের উপর স্থাপিত অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে কয়েক দফা নোটিশ দেওয়া হয়। অনেকে স্বেচ্ছায় সরিয়ে নিলেও বেশকিছু স্থাপনা রয়ে গেছে। এ জন্য গতকাল আবারও অভিযান চালানো হয়।

এ ধরনের উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আগামীতে দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ সড়কে আরও অভিযান হতে পারে।’

অভিযানের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য মহাব্যবস্থাপক মঞ্জুর আহমদ চৌধুরী, মহাব্যবস্থাপক এবিএম শরীফ, মহাব্যবস্থাপক মো. শহিদুল ইসলাম, মহাব্যবস্থাপক খান মোহাম্মদ জাকির, ডিজিএম মো. আব্দুল মুকিত, ডিজিএম নাজমুল ইসলাম চৌধুরী, ব্যবস্থাপক মনোয়ার হোসেন, ব্যবস্থাপক নিতাই চন্দ্র পাল, ব্যবস্থাপক ফজলুল হক, ব্যবস্থাপক ওয়েছ আহমদ, উপব্যবস্থাপক মোনায়েম সরকার, উপব্যবস্থাপক মো. সুহেদুর রহমান, সহকারী কারিগরী কর্মকর্তা, রেজাউর রহমান চৌধুরী, আইন কর্মকর্তা ছাদেকুন নূর চৌধুরী, সহকারী সমন্বয় কর্মকর্তা সুমন চক্রবর্তী, মো. আব্দুল সহিদসহ পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা।

এসএইচ/আরসি-০৮