বালাগঞ্জে প্রবাসীকে কুপিয়ে জখম, অবস্থা সংকটাপন্ন

বালাগঞ্জ প্রতিনিধি


মার্চ ০৪, ২০২২
১০:২৩ অপরাহ্ন


আপডেট : মার্চ ০৪, ২০২২
১০:২৪ অপরাহ্ন



বালাগঞ্জে প্রবাসীকে কুপিয়ে জখম, অবস্থা সংকটাপন্ন

বালাগঞ্জ উপজেলার বালাগঞ্জ ইউনিয়নের মজলিশপুর গ্রামের শেখ আজিজুর রহমানের ছেলে শেখ মিফতাউর রহমান মিশুর শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন।  রামদার কোপে মাথা ও শরীরে মারাত্মক জখম হয়েছে তার। থেঁতলে দেয়া হয়েছে শরীরের বিভিন্ন অংশ। মাথায় ও পায়ে রয়েছে অসংখ্য সেলাই। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরলেও অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় ৩ মার্চ ফের তাকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মিশুর স্বজনরা জানিয়েছেন, তার শরীর নিস্তেজ হয়ে গেছে। ঠিক মত কথাও বলতে পারছেন না। হামলার ভয়াবহতা তাড়া করছে তাকে। 

বর্বর এই হামলার ঘটনায় মিশুর স্ত্রী বাদি হয়ে ২৭ ফেব্রæয়ারি রাতে বালাগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- কাজীপুর গ্রামের শিপলু মিয়া, শিপন মিয়া, টিপন মিয়া, চরভিতা গ্রামের আব্দুল মালিক, লিটন মিয়া, শফিক মিয়া, খসরু মিয়া ও আব্দুস সালামসহ আরো ২-৩ জন। 

মামলার এজাহার, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মিশু সম্প্রতি প্রবাস থেকে দেশে এসেছেন। সামাজিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে অভিযুক্তরা মিশুর পরিবারের ক্ষতি করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। 

২৪ ফেব্রæয়ারি দুপুরের দিকে মিশু বাড়ির সীমানা দেয়াল নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এসময় অভিযুক্তরা কোনো কারণ ছাড়াই মিশুকে গালাগাল করেন। মিশুর সাথে তাদের তর্ক-বিতর্ক হয়। তর্ক-বিতর্কের জের ধরে অভিযুক্তরা মিশুর বাড়ির গেইটের কাছে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকেন। বেলা ২টার দিকে মিশু ও তার বোন বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হয়ে বাড়ির গেইটের সামনে যাওয়া মাত্রই শিপলু ও মালিক রামদা দিয়ে মিশুকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। 

মিশু মাটিতে পড়ে সংজ্ঞাহীন হওয়ার পরও অভিযুক্ত লিটন, শফিক, খসরু ও আব্দুস সালাম মিশু এবং তার বোনকে নির্দয়ের মত বেধড়ক মারপিট করেন। 

মিশুর পরিবার ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এদিকে, হামলাকারীরা অস্ত্র উঁচিয়ে গালাগালি করে বাড়ির গেইট, সীমানা প্রাচীর ও নাম ফলক, নির্মাণাধীন ঘরের তিনটি দেয়াল ভেঙে ফেলে সীমানা প্রাচীর তৈরীর রড-ইট লুট করে নিয়ে যান। 

মিশুর সাথে থাকা নগদ টাকা, মোবাইল ফোন, স্বর্ণের চেইন ও মিশুর বোনের কান থেকে স্বর্ণের দুল ছিনিয়ে নিয়ে গেছেন বলেও এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে। 

মিশুর স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের সামাজিক কার্যক্রম দেখে প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে দীর্ঘদিন ধরে তারা আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। আমাদের ক্ষতি করার জন্য ষড়যন্ত্র করছিল। মিশুকে হত্যা করতে পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলা করা হয়েছে। তারা গায়ের জোরে চলাফেরা করে, কোনো সালিশ-বিচার মানে না। বিগত দিনে অতিষ্ট হয়ে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে জিডিও করেছিলাম। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বালাগঞ্জ থানার এসআই নুরুজ্জামান হামলা-ভাঙচুরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এজাহারভুক্ত টিপন মালিককে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।  অন্যান্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। লুটপাটের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। 


এস এ/বি এন-০৫