কুলাউড়ায় অভিমানে ঋণগ্রস্থ ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা

কুলাউড়া প্রতিনিধি


মার্চ ০৯, ২০২২
০১:৩৪ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মার্চ ০৯, ২০২২
০১:৩৪ পূর্বাহ্ন



কুলাউড়ায় অভিমানে ঋণগ্রস্থ ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা

মৌলবীবাজারের কুলাউড়ায় ইন্দ্রজিত কুন্ডু (৪২) নামে এক ব্যবসায়ী দোকানে চিরকুট রেখে আত্মহত্যা করেছেন। কুলাউড়া শহরের দক্ষিণ বাজারে আজ মঙ্গলবার (৮ মার্চ) এই ঘটনা ঘটে। আত্মহত্যা করা এই ব্যবসায়ী ঋণগ্রস্থ ছিলেন বলে জানা গেছে।

খবর পেয়ে কুলাউড়া থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।

পারিবারিক, ব্যবসায়ী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ব্যবসায়ী ইন্দ্রজিত কুন্ডু মঙ্গলবার খুব ভোরে অথবা শেষ রাতের দিকে তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইন্দ্রজিৎ স্টোরের ভেতরে একটি রডের সাথে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যায় করেন। পার্শ্ববর্তী সেলুনের লোকজন সকালে দোকান খুলতে এসে ইন্দ্রজিতের দোকানের শার্টার খোলা দেখতে পায়।

পরিবারের লোকজন দোকান খুলে ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। খবর পেয়ে ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। এসময় ইন্দ্রজিতের হাতের লেখা একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়।

চিরকুটে লেখা ছিলো, অর্থনৈতিকভাবে খুব কষ্টে আছি। ভাইদের সামার্থ্য আছে আমাকে ২-৩ লাখ টাকা দেয়ার কিন্তু তারা দেয়নি। আমি নিজে বড় ভাইদের কাছে অনেক টাকা পাবো। তারা আমায় কোন সাহায্য করেনি।

তিনি আরও লিখেন, লাভলী (স্ত্রী) বাপের বাড়ি যেতে চায়নি। আমি জুরে (জোরপূর্বক) তাকে পাঠিয়েছি।

স্ত্রী লাভলী আর এক পুত্র সন্তান নিয়ে শহরের মাগুরা এলাকায় সুব্রত দেবের বাসায় ভাড়া থাকতেন ব্যবসায়ী ইন্দ্রজিত। সুইসাইড নোট অনুসারে সোমবার (০৭) মার্চ জোর করে স্ত্রী সন্তানকে শ্বশুড় বাড়ি পাঠিয়ে দেন ইন্দ্রজিত।

কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম আতিকুর রহমান আখই জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। খোঁজ নিয়ে জেনেছি বিভিন্ন এনজিওসহ বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে ঋণগ্রস্থ ছিলেন ব্যবসায়ী ইন্দ্রজিত। ধারণা করা হচ্ছে ঋণে জর্জরিত হয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে তিনি কাউকে তাঁর মৃত্যুর জন্য অভিযুক্ত করেননি।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, এটা আত্মহত্যা। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

জেএইচ/আরসি-০৮