আনন্দ উচ্ছাসে মেতেছিল কোমলমতি শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক


মার্চ ১১, ২০২২
০৭:৪১ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মার্চ ১১, ২০২২
০৭:৪১ পূর্বাহ্ন



আনন্দ উচ্ছাসে মেতেছিল কোমলমতি শিক্ষার্থীরা
ইউরোকিডসের ‘স্পোর্টস ডে’

সারাদিন ছুটোছুটি, হৈ-হুল্লোড় আর নেচে-গেয়ে মুক্ত আকাশের নিচে কাটিয়ে দেওয়া-এটাই তাদের প্রত্যাশার, এতেই তাদের সৌন্দর্য। প্লে-নার্সারির শিক্ষার্থীদের এমন দস্যিপনা থেকে বাদ যায় না স্কুল প্রাঙ্গণও। যদিও করোনার কারণে গত দু’বছর তাদের এই প্রাণচাঞ্চল্য, কলরব যেন আটকে ছিল চার দেয়ালে।

মহামারি করোনার বিধিনিষেধ শেষে এবার ফের খুলেছে স্কুল। জৈব সুরক্ষা বলয়ের দিন পেছনে ফেলে আবারও মুক্ত জীবন শুরু হচ্ছে তাদের। শিশুদের এই বিদ্যালয়ে ফেরার দিনে পড়াশোনাকেও খেলায় রূপ দেওয়ার ভিন্ন এক প্রচেষ্ঠায় দিনটি উদযাপন করেছে সিলেটের সুনামধন্য ‘ইউরোকিডস স্কুল’। 

বৃহস্পতিবার করোনার ছুটি শেষে খুলেছে ইউরোকিডস। স্কুল খোলার প্রথম দিনে শিশুদের নিয়ে ‘স্পোর্টস ডে’ আয়োজন করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। আয়োজন করা হয় শিশুদের নিয়ে নানা ধরণের দৌড় প্রতিযোগিতার। স্কুলের সব শিক্ষার্থীরা এসব প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। প্রতিযোগিতাকে শুধুই বিনোদনের একটা মাধ্যম বোঝানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চাননি কর্তৃপক্ষ। তাই অংশগ্রহণকারী সবাইকে খেলায় বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। সবাইর হাতে তুলে দেওয়া হয় একই পুরষ্কার। 


শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে এসময় উপস্থিত ছিলেন রয়েল এডুকেয়ারের পরিচালক ফাহিম আহমেদ চৌধুরী, রাইজ স্কুলের প্রিন্সিপাল মি. মারক, ভাইস প্রিন্সিপাল জিনাত মোস্তফা। বেলুন উড়িয়ে স্পোর্টস ডে’র উদ্বোধন করেন রয়েল এডুকেয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম রাব্বানী চৌধুরী।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, করোনার দীর্ঘ ছুটি কাটিয়ে শিক্ষার্থীরা আবারও তাদের প্রিয় আঙিনায় ফিরেছে। স্কুল প্রাঙ্গণ আবারও শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখরিত হয়ে উঠেছে। তবে স্কুল মানেই যে শুধু পড়াশোনা এমন নয়- স্কুল যে এক মুক্ত আকাশ, সেটা এই আয়োজনে প্রকাশ পেয়েছে। 


ইউরোকিডস স্কুলের সেন্টার হেড রুশিনা চৌধুরীর সার্বিক পরিচালনায় সঞ্চালকের ভ‚মিকায় ছিলেন ইউরোকিডসের শিক্ষক রোহেনা সুলতানা।

এমন আয়োজন প্রসঙ্গে ইউরোকিডস স্কুলের সেন্টার হেড রুশিনা চৌধুরী বলেন, করোনার কারণে দুই দফা স্কুল বন্ধ ছিল। শিক্ষার্থীরাও তাদের মতো করে জীবনটা উপভোগ করতে পারেনি। বাসার চার দেয়ালে অনেকটা জৈব সুরক্ষা বলয়ে তারা ছিল। খেলাধুলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অনেকদিন পর স্কুলে তাদের মতো করে একটি দিন অতিবাহিত করল। এসব আয়োজনে শিশুরা বাঁধভাঙা উৎসবে মাতে। তাদের সঙ্গে আনন্দে আমরাও যুক্ত হই।

আরসি-০৬