কংগ্রেসে নেতৃত্ব পরিবর্তনের দাবি বাড়ছে

সিলেট মিরর ডেস্ক


মার্চ ১৪, ২০২২
০১:৫৯ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মার্চ ১৪, ২০২২
০১:৫৯ পূর্বাহ্ন



কংগ্রেসে নেতৃত্ব পরিবর্তনের দাবি বাড়ছে

বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির দায় নিয়ে দলের সব পদ ছাড়ছেন গান্ধী পরিবারের তিন সদস্যই, এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এই সম্ভাবনাকে নাকচ করে দিয়েছেন কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সূর্যেওয়ালা।

তিনি বলেছেন, ‘অলিখিত সূত্রের ভিত্তিতে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের ইস্তফার যে খবর প্রচার করা হয়েছে, সেটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও ভুল।’

অনেকেই মনে করছেন কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের আগে শীর্ষ নেতাদের ওপর চাপ তৈরি করতেই এধরনের খবর ছড়ানো হয়েছে।

পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির কারণ খুঁজতে বৈঠকে বসেছে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি (সিডব্লিউসি)। এই বৈঠকে কংগ্রেস নেতৃত্ব সম্পর্কে নতুন করে উঠে আসা প্রশ্নগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে সেপ্টেম্বরে নির্ধারিত সাংগঠনিক নির্বাচন এগিয়ে নিয়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার ঘোষিত রাজ্য নির্বাচনের ফলাফলে শতাব্দী প্রাচীন দল কংগ্রেস নিশ্চিহ্ন হওয়ার মুখোমুখি হয়েছিল। দলটির নিয়ন্ত্রণে থাকা সর্বশেষ প্রধান রাজ্যগুলোর মধ্যে পাঞ্জাবকে আম-আদমি পার্টি ছিনিয়ে নিয়েছে। অন্য তিনটি রাজ্যেও শক্তিশালী লড়াই করতে ব্যর্থ হয়েছে কংগ্রেস।

যদিও দলটি উত্তরাখণ্ড, গোয়া এবং মণিপুরে ভালো ফলের আশা করেছিল। দেশের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস কার্যত শূন্য। দলটি সেখানে মাত্র দুই দশমিক চার শতাংশ ভোট পেয়েছে।

পরাজয়ের ফলে গান্ধী পরিবারের তীব্র সমালোচনা, সাংগঠনিক স্তরে সম্পূর্ণ সংশোধন এবং নেতৃত্বের পরিবর্তনের জন্য দাবি ক্রমশ বাড়ছে।

‘জি-২৩’ নামে পরিচিত কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর নেতারা দুই বছর ধরে যে দাবি করে আসছিলেন, ওই দাবিগুলোর পক্ষে দলীয় নেতাকর্মীদের সমর্থনও বাড়ছে।

‘জি-২৩’ গোষ্ঠীর কংগ্রেস নেতারা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর প্রবীণ নেতা গুলাম নবী আজাদের বাড়িতে দেখা করেছিলেন। দলকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য কোনো সংশোধনমূলক পদক্ষেপ না নেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেস নেতৃত্বের প্রতি হতাশা জানিয়েছেন তারা। একই সঙ্গে আগামী দিনের পথ নিয়ে আলোচনা করেছেন বলেও জানা গেছে।

গত বছর আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা এবং পুদুচেরির বিধানসভা ভোটে পরাজয়ের পরে দলীয় বিপর্যয়ের মূল্যায়ন করার জন্য গঠিত কমিটির রিপোর্টটি দলে আলোচনা করা হয়নি বলেও তারা উদ্বেগ জানিয়েছেন।

তবে গান্ধী পরিবারের অনুগতরা নেতৃত্বকে রক্ষা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও পার্টির সমস্যা সমাধানকারী নেতা হিসেবে পরিচিত ডি কে শিবকুমার বলেছেন, ‘কংগ্রেস তার প্রথম পরিবার (গান্ধী পরিবার) ছাড়া ঐক্যবদ্ধ হতে পারে না এবং তাদের ছাড়া বেঁচে থাকা অসম্ভব। তারা কংগ্রেস দলের ঐক্যের মূল চাবিকাঠি...গান্ধী পরিবার ছাড়া কংগ্রেসের পক্ষে টিকে থাকা অসম্ভব।’

আরসি-০৭