সিলেট মিরর ডেস্ক
মার্চ ১৭, ২০২২
০৬:০৪ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মার্চ ১৭, ২০২২
০৬:০৪ পূর্বাহ্ন
চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানো ও পূর্ণ রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবিতে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি সিলেট জেলা কমিটি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
আজ বুধবার (১৬ মার্চ) বিকেল ৪ টায় নগরের পৌর বিপণীতে ওয়ার্কার্স পার্টি সিলেট জেলা কার্যালয়ের সামনে হতে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি নগরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড সিকান্দার আলীর সভাপতিত্বে ও জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ইন্দ্রাণী সেন সম্পার পরিচালনায় বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশ বক্তব্য দেন জেলার সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য দীনবন্ধু পাল, হিমাংশু মিত্র, জেলা সদস্য অজিত দেবনাথ, মুহিতোষ চৌধুরী প্রসাদ, আলমগীর হোসেন রুমেল, জেলা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা চৌধুরী, জেলা সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমদ, শ্রমিক নেতা কাজী আলফাজ হোসেন, মাহিন উদ্দিন মঈন, জামাল হোসেন, নারী নেত্রী আখলিমা আক্তার ও তাসলিমা বেগম, বিজয় করিম, মিলন উরাও, শহীদ উদ্দিন, গোপাল উরাও প্রমুখ। বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশে পার্টির শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে কমরেড সিকান্দার আলী বলেন, প্রতিনিয়ত দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে অসহায় হয়ে পড়েছে মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের বিশেষ কোনো উদ্যোগ এখনও দৃশ্যমান নয়। করোনায় সাধারণ মানুষ দিশেহারা। তার মধ্যে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বেড়ে চলেছে। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষ বড় অসহায় হয়ে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, কৃষক যে মূল্যে পণ্য বিক্রি করছে, তা বড় শহরগুলোয় এসে কয়েক গুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এর জন্য মধ্যস্বত্বভোগী ও বাজার সিন্ডিকেটকারীরা দায়ী। কিন্তু এগুলো নিয়ন্ত্রণে সরকারের জোরালো কোনো ভূমিকা নেই। ভোজ্য তেল, ডাল, চাউল, সিলিন্ডার গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজন্য দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে মানুষের ওপর চরম নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে, যা সরকার বুঝতে পারছে না। তিনি বলেন, অনেকেই ঋণগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছে। যার যতটুকু খাওয়া দরকার, তা সে প্রতিদিন খেতে পারছে না। এতে অনেক মানুষ পুষ্টিহীনতায় ভুগছেন, অনেকে ভুগবেন। তিনি অনতিবিলম্বে দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।
আরসি-০৩