কোম্পানীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি


মার্চ ১৮, ২০২২
০৬:০৩ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মার্চ ১৮, ২০২২
০৬:০৩ পূর্বাহ্ন



কোম্পানীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ৪ নম্বর ইছাকলস ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাজ্জাদু রহমান সাজুর বিরুদ্ধে হোল্ডিং ট্যাক্সের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছেন ইউপি সদস্যরা। 

গত মঙ্গলবার এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের ৮ জন সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্যরা। 

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে হোল্ডিং ট্যাক্সের নামে রশিদ দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে নামসর্বস্ব একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে টাকা আদায় করা হয়েছে। ট্যাক্স আদায়ের সময় ইউপি চেয়ারম্যান কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেননি। সেই প্রতিষ্ঠানটি ইউনিয়নের প্রত্যেক খানা প্রধানের বিপরীতে ট্যাক্স আদায় পাশ বই বাবদ ৩০ টাকা করে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা উত্তোলন করেন। সেই টাকা ইউপি চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদের একাউন্টে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। 

২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শাইস্তা মিয়া দৈনিক সিলেট মিররকে বলেন, ইউনিয়নের সমন্বয় সভায় হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্ত চেয়ারম্যান সাহেব আমাদের ট্যাক্স আদায় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রস্তাব উড়িয়ে দেন। উনি একক সিদ্ধান্তে পরিষদের বাইরের লোক দিয়ে ট্যাক্স উত্তোলন করেছেন। উত্তোলনের টাকা পরিষদের একাউন্টে জমা হয়নি। 

অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে জানতে চাইলে ট্যাক্স আদায়ের বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দৈনিক সিলেট মিরর-এর প্রতিবেদককে জবাব দেন ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদুর রহমান সাজু। পরে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি বলেন, ‘ইউপি সচিব আমাকে না জানিয়ে অন্যদের দিয়ে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করেছেন। সবকিছু পরিষদের সচিব জানেন। শুনেছি যারা ট্যাক্স তুলেছিল তারা নাকি পালিয়ে গেছে। আমার বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ করছেন তারা আমার প্রতিদ্ব›দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী এখলাছুর রহমানের পক্ষের লোক। তাই তারা আমার সম্মান নষ্ট করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ করছেন।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি সচিব সাহাব উদ্দিন দৈনিক সিলেট মিররকে বলেন, ‘হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের বিষয় চেয়্যারম্যান জানেন। তাকে জানিয়েই সব কাজ করা হয়েছে। তার অনুমতিইে পরিষদের বাইরের কিছু লোক দিয়ে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।’ হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের টাকা কেন পরিষদের একাউন্টে জমা হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যাদেরকে দিয়ে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে তারা আমার কাছে কিছু টাকা জমা দিয়ে বাকী টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে। আমরা তাদেরকে ধরার চেষ্টা করছি।’ 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দেখব। কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আরসি-০৩