সিলেট মিরর ডেস্ক
মার্চ ২০, ২০২২
০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মার্চ ২০, ২০২২
০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গোলাপগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত শামসুদ্দিনের জ্ঞান ফিরলেও আজীবনের জন্য পঙ্গু হতে চলেছেন। তার ডান হাত এবং ডান পা অচল হয়ে গেছে। হামলার ঘটনার দুই সপ্তাহ পার হলেও জড়িত কেউ ধরা পড়েনি। আর এ নিয়ে চরম উৎকন্ঠায় শামসুদ্দিনের পবিবার।
শামসুদ্দিরে স্ত্রী মনোয়ারা বেগম জানান, তাঁর স্বামীর পৈত্রিক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিলো স্থানীয় পার্শ্ববর্তী অংশের জমির উদ্দিনের সঙ্গে। সে বিরোধ মীমাংসার জন্য এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। কিন্তু এরই মধ্যে গত ৩ মার্চ হঠাৎ জমির উদ্দিন ও তার ছেলেরা ঘরের সামনে ড্রেন খুড়তে শুরু করে এতে শামসুদ্দিনের ছেলে ইমন বারণ করলে প্রতি পক্ষের লোকজন তার উপর উপর হামলা চালায়।
তিনি জানান, ঘর থেকে শামসুদ্দিন বেরিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ইমনকে আটকে রেখে তার পিতাকে বেদম মারপিট শুরু করে। এক পর্যায়ে মাথায় শাবলের আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন শামসুদ্দিন। এতে শামসুদ্দিনের মাথা ও কান ফেটে যায়। বাম হাত ভেঙে যায়। তখন শোর চিৎকার শুনিয়া স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে শামসুদ্দিন ও তার ছেলেসহ অন্যদের হামলাকারীদের কবল থেকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে পাঠান। প্রায় এক সপ্তাহ পর তার জ্ঞান ফিরলেও স্ট্রোকের কারণে তার ডান হাত এবং পা অবশ হয়ে গেছে। কথা বলতেও পারছেন না শামসুদ্দিন।
এ ঘটনায় ৮ মার্চ শামসুদ্দিনের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে গোলাপগঞ্জ থানায় মামলা (৭/৪৫) দায়ের করেন জমিরসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরদির্শন করলেও জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। হামলাকারীদের ভয়ে শামসুদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা এখনও বাড়ি ফিরতে পারেনি।
এএন/আরসি-২৫