কার্ড হাতে টিসিবি’র পণ্য কিনতে সিলেটে ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক


মার্চ ২০, ২০২২
০৯:০০ অপরাহ্ন


আপডেট : মার্চ ২০, ২০২২
০৯:০৩ অপরাহ্ন



কার্ড হাতে টিসিবি’র পণ্য কিনতে সিলেটে ভিড়

কার্ড হাতে টিসিবির পণ্য কিনতে মানুষের ভিড়। ছবিটি নগরের হাউজিং এস্টেট এলাকার। ছবি- সিলেট মিরর

কার্ডের মাধ্যমে সিলেটে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর পণ্য বিক্রি শুরু করেছে। 

আজ রবিবার (২০ মার্চ) থেকে শুরু হয়েছে পণ্য বিক্রির এ কার্যক্রম।

বিশেষ কার্ডের মাধ্যমে আসন্ন পবিত্র রমজান উপলক্ষে সিলেটে সিটি করপোরেশনের ১৪টি ওয়ার্ডের ১৮টি স্থানে ও ১৩টি উপজেলার ৪৪টি স্থানে আজ একযোগে পণ্য বিক্রি করছে টিসিবি।

বিশেষ এই ‘ফ্যামিলি কার্ড’র মাধ্যমে আজ থেকে পুরো বিভাগের ৪ লাখ ৬১ হাজার ৫২১টি পরিবার টিসিবি’র পণ্য কিনতে পারবে।

নগরের ১৪টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানের বিক্রয় কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, সকাল ১০টা থেকে পণ্য বিক্রি শুরুর কথা থাকলেও ৯টা থেকে মানুষ এসে ভিড় জমাতে শুরু করেন। দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘ হয়েছে টিসিবির পণ্য কিনতে আসা মানুষের সারি। 

টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরুর আগে শনিবার সিলেটের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান জানান, টিসিবি’র ট্রাক থেকে প্রতিজন ১১০ টাকা প্রতি লিটার দামে ২ লিটার সয়াবিন তেল, ৫৫ টাকা প্রতি কেজি দামে ২ কেজি চিনি ও ৬৫ টাকা প্রতি কেজি দামে ২ কেজি মসুরের ডাল কিনতে পারবেন। সুবিধাভোগীরা ‘ফ্যামিলি কার্ড’র মাধ্যমে মাসে দুইবার এই সুবিধা পাবেন।

জেলা প্রশাসক আরও জানান, আপাতত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকার ১৪টি ওয়ার্ডে (১ থেকে ১৪ নম্বর ওয়ার্ড) টিসিবি’র পণ্য পাওয়া যাবে। পরবর্তীতে অন্যান্য ওয়ার্ডেও পাওয়া যাবে এসব পণ্য।

সিটি করপোরেশনের ১৪টি ওয়ার্ডের ১৮টি স্থানে ও ১৩টি উপজেলার ৪৪টি স্থানে একযোগে টিসিবি’র পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু হবে। সঠিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আলাদা মনিটরিং টিমও গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকার মোট ৪৫ হাজার পরিবার টিসিবি’র পণ্য পাবেন। তাদের জন্য বরাদ্দ থাকবে মোট ৯০ হাজার লিটার সয়াবিন তেল ৯০ হাজার মেট্রিক টন চিনি ও ৯০ হাজার মেট্রিক টন মসুরের ডাল। 

আর সিলেট জেলার ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৩৬৩ পরিবার পাবে মোট ২ লক্ষ ৭৪ হাজার ৭০০ লিটার সয়াবিন তেল, ২ লক্ষ ৭৪ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন চিনি ও ২ লক্ষ ৭৪ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন মসুরের ডাল। এছাড়া মৌলভীবাজার জেলার ৭২ হাজার ৪২৬টি, সুনামগঞ্জ জেলার ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৯১২টি ও হবিগঞ্জ জেলার ৯১ হাজার ৮২০টি পরিবার টিসিবি’র পণ্য পাবে বলে জানানো হয়েছে।

জেলা প্রশাসক আরও জানান, টিসিবি’র পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে থাকবে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে থাকবে মনিটরিং টিম। এছাড়াও মাঠে থাকবে বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের পক্ষে ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে পৃথক মনিটরিং টিম।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী বলেন, ‘কার্ডের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রচুর মানুষ পণ্য কিনতে সকাল থেকেই এসেছেন। এসব কার্যক্রম যাতে সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয় এজন্য সিসিকের একাধিক মনিটরিং টিম কাজ করছে। পাশাপাশি মন্ত্রণালয় ও প্রশাসনের মনিটরিং টিমও মাঠে আছে।’


এএফ/০৩