রমজানের চাঁদ দেখা গেছে

সিলেট মিরর ডেস্ক


এপ্রিল ০৩, ২০২২
০১:১০ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ০৩, ২০২২
০১:৪০ পূর্বাহ্ন



রমজানের চাঁদ দেখা গেছে

দেশের আকাশে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। তাই আজ (শনিবার) রাতে তারাবি নামাজ আদায় ও শেষ রাতে সাহরি খেয়ে রবিবার (৩ এপ্রিল) প্রথম দিনের রোজা পালন করবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি পবিত্র মাস রমজান। এই এক মাস সংযম সাধনার পর ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপন করেন মুসলমানরা।

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি জানিয়েছে, আগামী ২৮ এপ্রিল দিবাগত রাতে পবিত্র শবে কদর পালিত হবে।

সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে আয়োজিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় সভাপতি ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সভায় জানানো হয়, ২৬ রমজান অর্থাৎ আগামী ২৮ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাতে পবিত্র শবে কদর পালিত হবে।

তিনি বলেন, ১৪৪৩ হিজরি সনের পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়সমূহ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, আজ শনিবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। 

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী এনামুল হাসান, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. শাহেনুর মিয়া, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মো. মুশফিকুর রহমান, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মুনিম হাসান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মো. ছাইফুল ইসলাম, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

মালয়েশিয়া, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের আকাশে শুক্রবার (১ এপ্রিল) পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়। ফলে দেশগুলোতে শনিবার প্রথম রোজা পালন করা হয়। 

ইসলামিক বিধান অনুযায়ী রমজানের চাঁদ দেখা যাওয়ায় শুক্রবার দিবাগত রাতে সাহরি খেয়ে শনিবার রোজা রাখছেন সেসব দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

 সাধারণত সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর একদিন পর বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখা যায়।

ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে রমজান সংযম, আত্মশুদ্ধি ও ত্যাগের মাস। রহমত (আল্লাহর অনুগ্রহ), মাগফেরাত (ক্ষমা) ও নাজাত (দোজখের আগুন থেকে মুক্তি)- এ তিন অংশে বিভক্ত এ মাস।


এএফ/০৪