ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে ৯৬ জনের মৃত্যু

সিলেট মিরর ডেস্ক


এপ্রিল ০৪, ২০২২
০২:৩০ অপরাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ০৪, ২০২২
১০:১৩ অপরাহ্ন



ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে ৯৬ জনের মৃত্যু

লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার পথে নৌকা ডুবে অন্তত ৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নৌকাটি থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার যাত্রীদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স (এমএসএফ)।

রবিবার এমএসএফের এক টুইটবার্তায় বলা হয়, বাণিজ্যিক ট্যাঙ্কার জাহাজ অ্যালেগ্রিয়া ১ শনিবার ভূমধ্যসাগরে ভাসমান অবস্থায় চার যাত্রীকে উদ্ধার করে। এই চারজনের সবাই ডুবে যাওয়া সেই নৌকাটির যাত্রী ছিলেন।

এমএসএফের টুইটবার্তায় বলা হয়, ‘আমরা অ্যালেগ্রিয়া ২ ট্যাংকারের ক্রুদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পেরেছি, ইউরোপের উদ্দেশে চার দিন আগে ভূমধ্যসাগরের লিবিয়ার উপকূল ত্যাগ করেছিল নৌকাটি। ওই সময় নৌকাটিতে প্রায় ১০০ যাত্রী ছিলেন এবং তাদের সবাই অভিবাসন প্রত্যাশী।’

‘উদ্ধার চার অভিবাসন প্রত্যাশী জানিয়েছেন, ধারণক্ষমতার তুলনায় অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কারণেই ডুবে গেছে নৌকাটি। এতে অনুমানিক ৯৬ বা তারও বেশি সংখ্যক যাত্রীর সলিল সমাধি ঘটেছে।’

উদ্ধার ৪ অভিবাসন প্রত্যাশীর জরুরি ভিত্তিতে নিরাপত্তা ও শুশ্রুষা প্রয়োজন উল্লেখ করে এএসএফের টুইটবার্তায় বলা হয়, ‘উদ্ধার এই অভিবাসন প্রত্যাশিদের এমন কোনো জায়গায় পাঠানো উচিত হবে না, যেখানে তারা বন্দিত্ব ও দুর্ব্যবহারের শিকার হতে পারে। বিশেষ করে লিবিয়া তাদের জন্য একেবারেই নিরাপদ নয়।’

জাতিসংঘের শরণার্থী বিভাগও বিষয়টি মানবিক দিক থেকে বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপকে। এক টুইটবার্তায় শরণার্থী বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘সম্প্রতি ইউক্রেনের ৪০ লাখেরও বেশি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। আমরা আশা করছি, জীবিত এই শরণার্থীদের বিষয়টিও ইউরোপ মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করবে।’

ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী দেশ লিবিয়া ও তুরস্কের অপর তীরেই ইউরোপ। মানবপাচারকারীদের মাধ্যমে ২০১৫ সাল থেকে প্রতিবছর এই বিপজ্জনক পথ দিয়ে ইউরোপে পাড়ি দিচ্ছেন অভিবাসন প্রত্যাশীরা। এই অভিবাসন প্রত্যাশীদের অধিকাংশি এশিয়া ও আফ্রিকার দারিদ্রপীড়িত, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলো থেকে আসেন।

প্রতিকূল এই যাত্রাপথে দুর্ঘটনাও খুবই সাধারণ ব্যপার। জাতিসংঘের অভিবাসন কর্তৃপক্ষের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে সমুদ্রপথে নৌযানডুবিতে মৃত্যু হয়েছে ১৫ শ’র ও অধিক অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে সমুদ্রে নৌযানডুবিজনিত কারণে।

শরণার্থীদের জোয়ার কমাতে লিবিয়ার কোস্টগার্ড বাহিনীর সঙ্গে সহায়তার চুক্তিও করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

বি এন-১০