জৈন্তাপুর প্রতিনিধি
এপ্রিল ০৫, ২০২২
০৬:০১ অপরাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ০৫, ২০২২
০৬:০১ অপরাহ্ন
সিলেটের জৈন্তাপুরে অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে সৃষ্ট বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে।
গত ২ হতে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে সৃষ্ট বন্যার পানি কমলেও উপজেলার নিম্নাঞ্চল, ১নং লক্ষীপুর, ২নং লক্ষীপুর, বাওনহাওর, চাতলার পাড়, খারুবিল, কেন্দ্রীহাওর, কাঞ্জর, গর্দনা, চাল্লাইন, ময়না, হর্নি, বাইরাখেল, কহাইগড়, কাপনাকন্দি এলাকার এখন পানিবন্দী রয়েছে।
পাহাড়ী ঢল ও সৃষ্ট বন্যায় উপজেলা প্রায় ৫শত হেক্টর বোরোধান নষ্ট হয়েছে। এছাড়া আগামি ফসল ও সব্জির ব্যাপক ক্ষতি সাধিত, অন্তত ২৫০টি মত ফিশারী তলিয়ে তলিয়ে যাওয়ায় ফিশারী মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।
সরেজমিনে কাটাখাল গ্রামের প্রবাস ফেরত তরুণ উদ্যোক্তা মো.ফখরুল ইসলাম বলেন, গত ৪ বছর পূর্বে প্রবাস হতে ফিরে এসে নিজেদের ভূমিতে ৩টি ফিশারী করেছি। ৩দিন থেকে টানা বৃষ্টি ও পাহাড় হতে নেমে আসা ঢলে ফিশারী ভাসিয়ে নিয়ে যায়। আমার অন্তত ২০লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এছাড়া ফিশারী সংলগ্ন ৩ একর ভূমিত উৎপাদিত সব্জি সমুহ ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
এছাড়া লক্ষীপুর গ্রামের হুমায়ুন কবির, আলামগীর হোসেন, নজির আহমদ, আম্বিয়া মিয়া, ইয়াকুব আলী, হরমুজ আলী বলেন, পবিত্র রজমানকে সামনে রেখে বিভিন্ন অঞ্চলের এসব কৃষকরা বিভিন্ন ধরনের শাক সব্জি চাষাবাদ সহ বোরোধান চাষ করেছিলেন। অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢল তাদেরকে শেষ করে দিয়েছে।
জৈন্তাপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ফারুক হোসেন বলেন, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে প্রায় ৭শত হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছিল। তারমধ্যে প্রায় ৫শত হেক্টর ভূমির ধান তলিয়ে গেছে এছাড়া উপজেলা বিভিন্ন ভাবে স্ক্রীমের আওতায় আরও ৮শত হেক্টর ভূমিতে ইরি ধান রোপণ করা হয়। কিন্ত ধান বের হয়ে আসার সময়ে বন্যা আসায় এসব ধান নষ্ট হয়ে পড়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ হতে কি পরিমান ক্ষতি সাধিত হয়েছে তার হিসাব কার্যক্রম মাঠ পর্যায়ে শুরু হয়েছে। তবে উপজেলায় অন্তত ১৫ হতে ২০ কোটি টাকার ফসলহানি হয়েছে প্রাথমিক ধারণা করছেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।
আর কে/বি এন-০৯