করোনায় মৃত্যুহীন দিনে শনাক্ত ৩৬

সিলেট মিরর ডেস্ক


এপ্রিল ০৭, ২০২২
১১:২৮ অপরাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ০৭, ২০২২
১১:২৮ অপরাহ্ন



করোনায় মৃত্যুহীন দিনে শনাক্ত ৩৬

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে কেউ মারা যাননি। এর আগের দিনও ছিল করোনায় মৃত্যুহীন। এছাড়া একই সময়ে করোনা সংক্রমিত নতুন ব্যক্তির সংখ্যা একই আছে। আগের দিন ৩৬ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল। গত ২৪ ঘণ্টায়ও এই সংখ্যা ৩৬।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণের হার কমেছে। আগের দিনের শূন্য দশমিক ৫২ শতাংশ থেকে এই হার বেড়ে হয়েছে শূন্য দশমিক ৬১ শতাংশ।

গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের উপপরিচালক ও কোভিড ইউনিটের প্রধান ডা. মো. জাকির হোসেন খানের সই করা কোভিড-১৯ বিষয়ক নিয়মিত বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত ৮৭৯ ল্যাবের মাধ্যমে মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫ হাজার ৯১৬টি। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত অ্যান্টিজেনসহ দেশে নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১ কোটি ৩৮ লাখ ৬৫ হাজার ৪৬২টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৯১ লাখ ৯৩ হাজার ৭৭২টি। আর বেসরকারি পর্যায়ে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৬ লাখ ৭১ হাজার ৬৯০টি।

আগের দিন দেশে ৩৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল। গত ২৪ ঘণ্টায়ও এ সংখ্যা ৩৬। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসের মোট সংক্রমণ শনাক্ত হলো ১৯ লাখ ৫১ হাজার ৯০৩ জনের শরীরে।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৬১ শতাংশ, যা আগের দিন ছিল শূন্য দশমিক ৫২ শতাংশ। আর এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার ১৪ দশমিক শূন্য আট শতাংশ।

আগের দিন দেশে করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন ৮৯৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় এ সংখ্যা কমে হয়েছে ৭৮৫ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মোট সুস্থ হলেন ১৮ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬ জন। সংক্রমণ বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সংক্রমিত হয়ে কেউ মারা যাননি। এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে মোট মৃত্যু ২৯ হাজার ১২৩ জন। সংক্রমণ বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

পরিসংখ্যান বলছে-এ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে পুরষ ১৮ হাজার ৫৯৩ জন (৬৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ) এবং নারী ১০ হাজার ৫৩০ জন (৩৬ দশমিক ১৬ শতাংশ)। মোট মৃত্যুর মধ্যে ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন সর্বোচ্চ ১২ হাজার ৭৯৫ জন (৪৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ), দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চট্টগ্রাম বিভাগে ৫ হাজার ৮৬৩ জন (২০ দশমিক ১৩ শতাংশ) এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ খুলনা বিভাগে ৩ হাজার ৭১৮ জন (১২ দশমিক ৭৭ শতাংশ)।

বয়সভিত্তিক মৃত্যুর তথ্যে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি ৯ হাজার ৪ জন মারা গেছেন ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সী, যা মোট মৃত্যুর ৩০ দশমিক ৯২ শতাংশ। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬ হাজার ৭৮৩ জন মারা গেছেন ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী (২৩ দশমিক ২৯ শতাংশ) এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ৫ হাজার ১০৪ জন মারা গেছেন ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সী (১৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ)। সব মিলিয়ে ৫১ থেকে ৮০ বছর বয়সী মারা গেছেন ২০ হাজার ৮৯১ জন যা মোট মৃত্যুর ৭১ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

আরএম-০১