সিলেট মিরর ডেস্ক
মে ০৩, ২০২৩
০৭:১৭ অপরাহ্ন
আপডেট : মে ০৪, ২০২৩
১২:০৪ পূর্বাহ্ন
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস আজ। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সকল প্রকার মানবাধিকারের চালিকাশক্তি।’
মুক্ত সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের দাবিতে সারা বিশ্বে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করা হয়। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এ দিবসটি বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালিত হবে।
১৯৯১ সালে ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ অধিবেশনের সুপারিশ অনুযায়ী, ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ৩ মে ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে’র (বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস) স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ইউনেস্কোর মতে অবাধ, মুক্তচিন্তা এবং মতপ্রকাশের অধিকার হচ্ছে মানবাধিকারের মূল কথা।
ইউনেস্কোর ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, এবার মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে একাধিক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। বৈশ্বিক এ আয়োজনে সরাসরি ও ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকছেন বিশ্বের মুক্ত গণমাধ্যম আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। দিবসটি সামনে রেখে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক শতাধিক সংগঠন।
দিবসটি পালন উপলক্ষে সম্পাদক পরিষদ গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষে আজ বেলা ১১টায় এক আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় প্রেস ক্লাব। এতে প্রধান অতিথি তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি।
একই সঙ্গে দিবসটি উদযাপনের ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে ইউনেস্কো, আর্টিকেল নাইনটিন এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) যৌথভাবে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপি।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে এক বার্তায় জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের ভিত্তি। কিন্তু বিশ্বের প্রতিটি কোণে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা আক্রমণের মুখে রয়েছে।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে একটি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনের উদ্বোধনীতে জাতিসংঘ মহাসচিবের ভিডিও বার্তাটি প্রচার করা হয়।
বার্তাটি জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
বার্তায় আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘দিনটি একটি মৌলিক সত্য তুলে ধরে: আমাদের সব স্বাধীনতা নির্ভর করে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের ভিত্তি।’
সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে ‘মানবাধিকারের প্রাণশক্তি’ বলে অভিহিত করেন জাতিসংঘ মহাসচিব। তিনি বলেন, তবে বিশ্বের প্রতিটি কোণে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা আক্রমণের মুখে রয়েছে।
সাংবাদিকেরা প্রতিনিয়ত হয়রানি, ভয়ভীতি, আটক ও কারারুদ্ধ হচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন জাতিসংঘ মহাসচিব। তিনি বিশ্বকে এক সুরে কথা বলার আহ্বান জানান। আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘হুমকি ও হামলা বন্ধ করুন। সাংবাদিকদের তাঁদের কাজের জন্য আটক ও কারারুদ্ধ করা বন্ধ করুন।’
উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ অধিবেশনের সুপারিশ অনুযায়ী, ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ৩ মে ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে’র (বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস) স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ইউনেস্কোর মতে অবাধ, মুক্তচিন্তা এবং মতপ্রকাশের অধিকার হচ্ছে মানবাধিকারের মূল কথা।
এসই/০৬