সিলেট মিরর ডেস্ক
মে ১৫, ২০২৩
০১:৫১ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মে ১৫, ২০২৩
০১:৫১ পূর্বাহ্ন
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ও সংসদ নির্বাচনের ভোগগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।
আজ রবিবার (১৪ মে) স্থানীয় সময় বিকাল ৫টার দিকে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ভোগগ্রহণ শেষ হয়। আগামীকাল সোমবার সকালে চূড়ান্ত ফল জানা যাবে।
রবিবার বিকাল ৫টায় আনুষ্ঠানিকভাবে ভোগগ্রহণ শেষ হলেও তখনও যারা লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন তারা ভোট দিতে পারবেন বলে জানা গেছে। এবার রেকর্ড সংখ্যক ভোটার ভোট দিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০১৮ সালে দেশটির সর্বশেষে জাতীয় নির্বাচনে ৮৮ দশমিক ১৮ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছিলেন।
আল-মনিটর ও আল-জাজিরা জানায়, তুরস্কে এবার ভোটার সংখ্যা ৬ কোটি ৪০ লাখের বেশি। এর মধ্যে প্রবাসী ভোটার ৩৪ লাখের মতো। বাকিটা দেশে। বিশ্বের ৭৩টি দেশে প্রবাসী তুর্কিরা এবারে ভোট দিয়েছেন।
নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ও প্রধানবিরোধী জোটের প্রার্থী কামাল কিরিচদারোগলুর মধ্যেই এবার মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। বিভিন্ন জরিপে কামাল কিরিচদারোগলু সামান্য ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। তবে কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পেলে দ্বিতীয় দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
এবারের নির্বাচনে মূল্যস্ফীতি, অর্থনীতির শ্লথ গতি এবং শরণার্থী সমস্যা মূল বিষয়। তুরস্কের বর্তমান মূল্যস্ফীতি কয়েক দশকের সর্বোচ্চ। দেশটির জীবনযাপনের ব্যয় মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। বেড়েছে আবাসন সংকট।
রবিবারের নির্বাচনে এরদোয়ান হেরে গেলে তুরস্কের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্রনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে। কামাল রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ না করলেও পশ্চিমাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াবেন। ২০০৩ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা এরদোয়ান তুরস্কের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্রনীতিতে এক ধরনের রক্ষণশীল ভারসাম্যপূর্ণ পরিবর্তন এনেছেন।
যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও রাশিয়া এবারের তুরস্কের নির্বাচন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। দ্য অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড কোঅপারেশন ইন ইউরোপ (ওএসিই) ৩৫০ জন পর্যবেক্ষক পাঠিয়েছে।
সূত্র : আল-মনিটর, আল-জাজিরা
এএফ/০৬