সিলেট মিরর ডেস্ক
মে ২৭, ২০২৩
০২:১১ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মে ২৭, ২০২৩
০৫:১৬ অপরাহ্ন
নির্ধারিত পরিমাণের বেশি রিয়াল বহনের দায়ে সৌদি আরবে গিয়ে আটক হয়েছেন বাংলাদেশি দুই হজ এজেন্সি মালিক। তাদের এজেন্সির মাধ্যমে এ বছর ৮২৩ জনের হজে যাওয়ার কথা রয়েছে। এজেন্সি মালিকরা সৌদিতে আটক হওয়ায় তাদের হজে পাঠানোর ক্ষেত্রে যে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে তা সমাধানের চেষ্টা করছে ধর্ম মন্ত্রণালয় এবং হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ৮২৩ জনের হজযাত্রা নিশ্চিত করতে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। শেষ পর্যন্ত সবাই হজে যেতে পারবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন হজ অফিসের কর্মকর্তারা।
কোবা এয়ার ইন্টারন্যাশনালের মালিক মাহমুদুর রহমান ও আহসানিয়া হজ এজেন্সির ব্যবস্থাপক সাদ-বিন-মাহমুদ গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সৌদি পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন।
এটিএম বুথ থেকে অতিরিক্ত অর্থ উত্তোলন করায় সৌদি গোয়েন্দাদের নজরে পড়েন তারা। পরে তাদের আটক করা হয়। তবে এজেন্সি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সৌদি আরবে বাড়ি ভাড়াসহ প্রয়োজনীয় খরচ মেটানোর জন্য তারা একটু বেশি পরিমাণে অর্থ উত্তোলন করেন। অর্থ উত্তোলনের পেছনে তাদের অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল না।
হজ অফিসের পরিচালক সাইফুল ইসলাম জানান, ওই দুই এজেন্সি একদিনে যে পরিমাণ টাকা উঠিয়েছে ওই টাকার পরিমাণ সন্দেহজনক লেগেছে সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছে। এজন্য তাদের আটক করেছে গোয়েন্দারা। বিষয়টি সুরাহা হওয়া পর্যন্ত তাদের আটক রাখা হবে।
এদিকে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও সৌদি হজ মিশন বিষয়টি সুরাহা করার চেষ্টা করছে। আশা করা হচ্ছে, শিগগির তারা মুক্তি পাবেন এবং আট শতাধিক হজযাত্রীর সৌদি আরবে যাওয়ার অনিশ্চয়তা কেটে যাবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ৮২৩ জনের হজযাত্রা নিয়ে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে তা সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত আছে। ১০ দিন পিছিয়ে তাদের বিমান টিকিট কাটা হচ্ছে।
এদিকে হাব সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিমও আশ্বস্ত করেছেন, এই সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে হাব। তিনি বলেন, ওই দুজনের সঙ্গে তিনটি এজেন্সি হজযাত্রীদের সৌদি আরবে পাঠানোর জন্য কাজ করছিল। উল্লিখিত তিনটি এজেন্সির ৮২৩ জন হজযাত্রীর ১ জুন সৌদি আরবের টিকিট কনফার্ম করা আছে। তবে সৌদি আরবে তারা আটক হওয়ায় সেখানকার প্রস্তুতিমূলক কাজে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় ৮২৩ জন হজযাত্রীর বিমান টিকিট সংগ্রহের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানসহ ফ্লাইটের তারিখ ১০ দিন পিছিয়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, একসাথে অনেক টাকা উত্তোলন করায় এটা সৌদি সেন্ট্রাল ব্যাংক নোটিশ করেছে। তারা তাৎক্ষণিক তাদের টাকাসহ গ্রেফতার করেছে। সৌদি আইন অনুযায়ী তাদের কাছে এত বেশি পরিমাণ ক্যাশ থাকার কথা না। আবার হজ ব্যবস্থাপনার কারণে একটা এজেন্সির কাছে এই পরিমাণ ক্যাশ থাকতেই পারে। কাজটা একটু কঠিন হলেও হজযাত্রা অনিশ্চিত হবে না। হয়তো এখানে সবাইকে একটু কষ্ট করতে হবে।
গত ২১ মে থেকে শুরু হয়েছে এবারের হজ ফ্লাইট। হজ শেষে সৌদি আরবে থেকে শেষ ফ্লাইট ছাড়বে ২২ জুন। চাঁদ দেখাসাপেক্ষে এবার হজ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৭ জুন (৯ জিলহজ)। এ বছর বাংলাদেশ থেকে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট এক লাখ ২২ হাজার ২২১ জন হজ পালনের জন্য সৌদি আরবে যাচ্ছেন। এর মধ্যে মোট যাত্রীর অর্ধেক ৬১ হাজার ১১১ জন হজযাত্রী পরিবহন করবে বাংলাদেশ বিমান। বাকি হজযাত্রী পরিবহন করবে সৌদি এয়ারলাইন্স ও ফ্লাই নাস।