রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার জন্য ওআইসি সদস্যদের অর্থ দেওয়ার আহ্বান

সিলেট মিরর ডেস্ক


মে ২৮, ২০২৩
০৪:২০ অপরাহ্ন


আপডেট : মে ২৮, ২০২৩
১১:১২ অপরাহ্ন



রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার জন্য ওআইসি সদস্যদের অর্থ দেওয়ার আহ্বান

ওআইসি মহাসচিব হিসাইন ব্রাহিম তাহা’র সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন


মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর চালানো গণহত্যার বিচার চেয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে যে মামলা করা হয়েছে সেই মামলা পরিচালনার জন্য মুসলিম বিশ্বের সহযোগিতামূলক সংগঠন ওআইসির সদস্যদের কাছে অর্থ চাওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং ওআইসির মহাসচিব যৌথ এক চিঠিতে এই অর্থ দেওয়ার আহ্বান জানান।

রোববার (২৮ মে) দুপুরে ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ওআইসির মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকের পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের এই কথা জানিয়েছেন।

ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার চেয়ে মামলা করেছে গাম্বিয়া। মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। সেই মামলা পরিচালনার জন্য বিপুল অর্থের প্রয়োজন। গাম্বিয়ার একার পক্ষে সেই অর্থ যোগান দেওয়া সম্ভব নয়। এছাড়া ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গার চাপ বহন করা বাংলাদেশের পক্ষেও সম্ভব নয়। এজন্য ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর কাছে এই অর্থ সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ওআইসি মহাসচিবের সঙ্গে রোহিঙ্গা ও অন্যান্য ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মুসলিমদের সংহত হতে হবে, মুসলিমদের অনেক সম্পদ আছে এবং সেগুলোকে নিজেদের কাজে কীভাবে ব্যবহার করা যায় সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

ওআইসি মহাসচিব হিসাইন ব্রাহিম তাহা জানান, ওআইসির অন্যতম অগ্রাধিকার হচ্ছে রোহিঙ্গা। সদস্যভুক্ত দেশগুলোর শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি।

তহবিল সংকটের কথা জানিয়ে ওআইসি মহাসচিব বলেন, সেজন্য আমি ওআইসির মহাসচিব হিসেবে সদস্য দেশগুলোকে চিঠি দিয়েছি রোহিঙ্গাদের সহায়তা করার জন্য। রোহিঙ্গা নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে মামলা করেছে গাম্বিয়া এবং দেশটি বড় বা ধনী দেশ নয়। এজন্য আমরা সব সদস্য দেশগুলোকে আহ্বান জানাই গাম্বিয়াকে সহযোগিতা করার জন্য এবং তহবিলে অর্থ দেওয়ার জন্য।

ওআইসি মহাসচিব পাঁচ দিনের সফরে ঢাকায় রয়েছেন। আজ রোববার (২৮ মে) রাত ৮টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার বৈঠকের কথা রয়েছে। এছাড়া রোহিঙ্গাদের দেখতে তিনি কক্সবাজারেও সফর করবেন।


এসই/০৮