মেঘালয়ে অতিবৃষ্টিতে ঢল, সুনামগঞ্জে বন্যার আশঙ্কা

সিলেট মিরর ডেস্ক


জুন ১৫, ২০২৩
০২:৩২ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুন ১৫, ২০২৩
০২:৩২ পূর্বাহ্ন



মেঘালয়ে অতিবৃষ্টিতে ঢল, সুনামগঞ্জে বন্যার আশঙ্কা


সুনামগঞ্জে ও ভারতের মেঘালয়ে অতিবৃষ্টির কারণে উজান থেকে ঢল নামছে। এতে সীমান্তবর্তী জাদুকাটা ও ধোপাজান নদী দিয়ে বিভিন্ন হাওরে ঢলের পানি প্রবেশ করছে। এ কারণে বালু-পাথর তোলার শ্রমিকেরা বিপাকে পড়েছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, পানি বাড়া অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।

পাউবো থেকে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে আজ বুধবার রাত ৯টা পর্যন্ত সুনামগঞ্জে ১০৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ভারতের চেরাপুঞ্জিতে রেকর্ড হয়েছে ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত। গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি ৯১ সেন্টিমিটার বেড়েছে।

এদিকে আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি বাড়া অব্যাহত ছিল। আগামী ৭২ ঘণ্টা ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই সময়ে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা পরিস্থিতির তৈরি হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে পাউবো।

সুনামগঞ্জে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামসুদ্দোহা বলেন, ‘সীমান্তবর্তী জাদুকাটা ও ধোপাজান নদী বেয়ে ঢলের পানি বিভিন্ন হাওরে প্রবেশ করছে। ভারতের চেরাপুঞ্জিতে যদি ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত বৃষ্টিপাত হয়। তাহলে আমাদের এই অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।’

আজ সকালে জেলার তাহিরপুর উপজেলার জাদুকাটা নদী দিয়ে প্রবল বেগে ঢল আসায় নদী তীরবর্তী শাহিদাবাদ গ্রামের কিছু অংশ ভাঙনের কবলে পড়ে। এভাবে ঢল অব্যাহত থাকলে আরও ভাঙনের সৃষ্টি হওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন এলাকাবাসী।

তাহিরপুরের শাহিদাবাদ গ্রামের এরাশদ মিয়া বলেন, ‘হঠাৎ ঢলের পানি এসে আমাদের গ্রামের কিছু অংশ ভাঙনের কবলে পড়েছে। জাদুকাটা নদীতে ঢলের পানি আসায় নদীতে বালু-পাথর তোলার সঙ্গে জড়িত প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। নদীতে ঢল থাকায় ঝুঁকি নিয়ে কেউই কাজে যাচ্ছেন না।’

তাহিরপুরের লাউড়ের গড় গ্রামের বালু শ্রমিক মাসুক মিয়া বলেন, ‘হঠাৎ কইরা ঢল আইছে। আমরা কাজে যেতে পারছি না। নদীতে স্রোত বেশি। এই অবস্থায় আমরা কাজ কর্মহীন আছি।’

ঢলের পানি হাওরে ঢুকছে বলে জানান পাউবোর আরেক নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার। তিনি বলেন, ‘এখন যেহেতু হাওর ফাঁকা আছে সেহেতু ঢলের পানি হাওরের দিকে যাবে। তবে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।’


এসই/০২