বাঘ-সিংহের চেয়ে ৩০০ গুণ বেশি ভয়ংকর মানুষ

সিলেট মিরর ডেস্ক


জুলাই ০৩, ২০২৩
০১:০৫ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুলাই ০৩, ২০২৩
০১:০৫ পূর্বাহ্ন



বাঘ-সিংহের চেয়ে ৩০০ গুণ বেশি ভয়ংকর মানুষ
ইউকের সেন্টার ফর ইকোলজি অ্যান্ড হাইড্রোলজি গবেষকদের তথ্য


মানুষের শিকারি তকমা পেরিয়ে বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো আবিষ্কার করেছেন মানুষের ভয়ংকর রূপ। বন্যপ্রাণীসহ অন্যান্য প্রাণীর ওপর শোষণ মানুষকে করে তুলেছে শীর্ষ শিকারি- সাদা হাঙর, সিংহ অথবা বাঘের চেয়ে ৩০০ গুণ বেশি ভয়ংকর। মানুষ প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বন্যপ্রাণীকে খাদ্য, ওষুধ অথবা পোষা প্রাণী হিসাবে ব্যবহার করে। আর প্রায় অর্ধেকেরও বেশি বন্যপ্রাণী বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকে মানুষের কার্যকলাপে। 

বন্যপ্রাণীর ওপর অক্সফোর্ডশায়ারের ওয়ালিংফোর্ডের ইউকে সেন্টার ফর ইকোলজি অ্যান্ড হাইড্রোলজির গবেষকদের এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। বিবিসি।

গবেষণাটিতে প্রায় ৫০ হাজার বন্য স্তন্যপায়ী প্রাণী, পাখি, সরীসৃপ, উভচর ও মাছের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। প্রাণীগুলোর বেশিরভাগই মানুষ পোষা প্রাণীর ব্যবসার জন্য বন্য থেকে সংগ্রহ অথবা খাদ্য, ওষুধ বা পোশাকের জন্য ব্যবহার করে থাকে। 

ইউকে সেন্টার ফর ইকোলজি অ্যান্ড হাইড্রোলজির গবেষক রব কুক বলেন, ‘বিভিন্ন প্রাণী ব্যবহারে মানুষের রয়েছে শ্বাসরুদ্ধকর বৈচিত্র। আমরা গবেষণায় যা পেয়েছি তার আকার আর মাত্রা আমাদের অবাক করে তুলেছে।’ মানুষ ১৪ হাজার ৬৬৩ প্রজাতি নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার অথবা বাণিজ্যে ব্যবহার করে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। যার মধ্যে মেরুদণ্ডী প্রাণীর সংখ্যা প্রায় এক-তৃতীয়াংশ আর ৩৯ শতাংশ প্রাণীই বিলুপ্তির পথে। পোষা বাণিজ্যের জন্য অবৈধ চোরাচালান বন্য পাখিদের বিলুপ্তির ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে। 

অতিরিক্ত মাছ ধরাও অনেক সামুদ্রিক প্রজাতিকে হুমকির মুখে ফেলে। মানুষের কার্যকলাপ জলবায়ু ও পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। বর্তমানে প্রাণীর ওপর মানুষের এই শোষণ ইতিহাসের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। 

বন্যপ্রাণীদের ওপর এমন অব্যাহত অত্যাধিক শোষণ ‘জীববৈচিত্র ও বাস্তুতন্ত্রের কার্যকারিতার ওপর গভীর পরিণতি’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন গবেষকরা। 

পৃথিবীর স্থীতিশীল অবস্থা বজায় রাখতে বিশ্বজুড়ে টেকসই মানব-প্রকৃতি সম্পর্কের দিকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রব কুক।

এএন/০৩