শ্রীমঙ্গলে এক পর্যটকের লাশ উদ্ধার

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি


আগস্ট ২৮, ২০২৩
০২:১২ পূর্বাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ২৮, ২০২৩
০৭:২১ অপরাহ্ন



শ্রীমঙ্গলে এক পর্যটকের লাশ উদ্ধার


মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলা থেকে শরীফুল ইসলাম (৪১) নামে এক পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (২৭ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে উপজেলার ডলুবাড়ি এলাকার একটি রিসোর্ট থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত শরীফুল নরসিংদী জেলার রায়পুর উপজেলার হাটু ভাঙ্গা এলাকার কামরুজ্জামানের ছেলে। তিনি রাজধানী ঢাকার ভাটেরা এলাকার ৪০ নম্বর ওয়ার্ডেরফাঁসের টেকে বসবাস করেন।

জানা গেছে, গত শুক্রবার সকাল আটটার দিকে চাঁদপুরের শাহারাস্তি উপজেলার খাসের বাড়ি গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে মো. নুরুল আমিন রাব্বিসহ অজ্ঞাতনামা আরও মধ্যবয়সী তিন জন পর্যটক লেমন গার্ডেন রিসোর্টের বৃষ্টি বিলাশের কক্ষ নং-০৫ এ উঠেন। পরদিন শনিবার রাত ১১টায় রিসোর্ট ব্যবস্থাপকের কাছে তাদের দুইজন রুম ভাড়া পরিশোধ করে বলেন, বাকি দুই জন রুমে রয়ে গেছেন। রবিবার দুপুরে চেক আউট করবেন জানিয়ে তারা রিসোর্ট থেকে বের হয়ে যান। 

এ সময় তারা কৌশলে ড্রাইভার পরিচয়ে সঙ্গের আরো একজনসহ তিন জন চলে যান। রবিবার হোটেল স্টাফ সহিদুল ইসলাম ও রুহান আহমেদ সংশ্লিষ্ট রুম চেকিংয়ের জন্য গেলে রুমে নক করলে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে জানালার দিয়ে দেখতে পান একজন মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন এবং রুমের ভেতর রক্তের দাগও তাদের চোখে পড়ে। 

বিষয়টি তারা রিসোর্টের ব্যবস্থাপককে অবগত করলে হোটেল কর্তৃপক্ষ শ্রীমঙ্গল থানায় খবর দেন।

খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছান। সন্ধ্যার দিকে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমান পিপিএম (বার) সহ জেলা পুলিশের ঊর্ধতন কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এ প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত পুলিশ লাশ ঊদ্ধারসহ ঘটনার ক্লু উদঘাটনে কাজ করছে।

পুলিশের প্রাথমিক ধারণা জনৈক নুরুল আমিন রাব্বি তার সঙ্গী অজ্ঞাতনামা ২ জনসহ ২৬ আগস্ট রাত আনুমানিক সন্ধ্যা সাতটা থেকে নয়টার ভেতর কোনো এক সময় ওই ব্যক্তিকে কাঠের বর্গা দিয়ে মাথায় একাধিক আঘাত করে খুন করেন। নিহত ব্যক্তির মাথায় ও মুখে আঘাতের কারণে মুখমন্ডল বিকৃতি হয়ে গেছে।

এ বিষয়ে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মো.মনজুর রহমান পিপিএম (বার) বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করাসহ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে। পাশাপাশি আইনী প্রক্রিয়া চলছে। এ বিষয়ে পুলিশ তৎপর রয়েছে ‘ 


জিকে-০১/এএফ-০৪