মরক্কো ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২৮০০ ছাড়ালো

সিলেট মিরর ডেস্ক


সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৩
১১:৩২ পূর্বাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩
০২:২৪ পূর্বাহ্ন



মরক্কো ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২৮০০ ছাড়ালো


এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত মরক্কো। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৮০০-এর বেশি। ঘর-বাড়ি ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় কিছু এলাকার গ্রামবাসীরা বাইরে ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। স্পেন, ব্রিটেন এবং কাতারের থেকে উদ্ধারকারী দল মরক্কো পৌঁছিয়েছে।

মরক্কোর সঙ্গে দেশগুলো উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে। শুক্রবার রাতে এটলাস পর্বতমালায় আঘাত হানা ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা।  

৫৯ বছর বয়সী মোহাম্মাদ এলহাসান জানান, ভূমিকম্পের সময় তিনি তার পরিবারের সঙ্গে রাতের খাবার খাচ্ছিলেন। তার ৩১ বছর বয়সী ছেলে ভয়ে বাইরে বের হয়ে যায়।

তখনই প্রতিবেশীর বাড়ির ছাদ ধসে পড়ে এবং সেই ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে। এলহাসান আরো বলেন, তিনি সাহায্যের জন্য চিৎকার করছিলেন। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। ছেলেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন।

এলহাসান এবং তার স্ত্রী ও মেয়ে তাদের বাড়ির ভেতরে থাকায় বেঁচে যান। এলহাসান বলেন, ‘ছেলে যদি বাড়ির ভিতরে থাকত তবে সে বেঁচে থাকত।’

অন্যান্য গ্রামের বাসিন্দারা বলেছেন,  তারা খালি হাতে ধ্বংসস্তূপ থেকে মানুষদের টেনে বের করে এনেছেন। টিকেখত গ্রামে কয়েকটি ভবন শুধুমাত্র দাঁড়িয়ে আছে। ৬৬ বছর বয়সী মোহাম্মদ ওচেন বলেন, ‘আমরা উদ্ধারে ব্যস্ত ছিলাম।

আমাদের কাছে কোনো সরঞ্জাম ছিল না। আমরা আমাদের হাত ব্যবহার করেছি।’

সহায়তা গোষ্ঠী ‘বোম্বেরস ইউনিডোস সিন ফ্রন্টেরাস (ইউনাইটেড ফায়ারফাইটারস উইদাউট বর্ডার)’- এর স্প্যানিশ উদ্ধারকারী আন্তোনিও নোগালেস বলেন, ‘ধ্বংসের মাত্রা... ভয়াবহ।’ নোগালেস জানান,  তিনি যা দেখছিলেন তা বর্ণনা করার জন্য সঠিক শব্দ খুঁজে পাচ্ছিলেন না। সেখানে একটি ঘরও সোজা ছিল না।

কুকুরের সাহায্যে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। যদি কেউ বেঁচে থাকে, এই আশায়। 

গত শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ১১টা ১১ মিনিটে মরক্কোর মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মারাকেশের শহর থেকে ৭১ কিলোমিটার দূরে এটলাস পর্বতমালা এলাকার ১৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পে অসংখ্য বাড়িঘর ধসে পড়ে, অনেক ভবনের দেয়াল ফেটে যায় এবং বহু মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন। ভূমিকম্পে পুরানো শহরের কিছু ঐতিহাসিক ভবন এবং একটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১২ শতকের ঐতিহাসিক তিনমেল মসজিদেরও বড় ক্ষতি হয়েছে।

সূত্র: রয়টার্স


এএফ/০৩