গাজায় খাবার পানি শেষ, চ্যালেঞ্জের মুখে বাসিন্দারা

সিলেট মিরর ডেস্ক


অক্টোবর ২৫, ২০২৩
০৭:৫৮ অপরাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ২৫, ২০২৩
০৭:৫৮ অপরাহ্ন



গাজায় খাবার পানি শেষ, চ্যালেঞ্জের মুখে বাসিন্দারা

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বিশুদ্ধ খাবার পানি প্রায়ই ‘শেষ’ হয়ে গেছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক দাতব্য সংস্থা অক্সফামের বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়। আজ বুধবার (২৫ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ধারণা করা হচ্ছে গাজায় এখন জনপ্রতি তিন লিটার পরিষ্কার পানি পাওয়া যায়। জাতিসংঘের মতে, মানুষের জন্য দৈনিক নূন্যতম ১৫ লিটার পানি অপরিহার্য।

এ পরিস্থিতিতে গাজায় বোতলজাত পানির সরবরাহ হ্রাস পেয়েছে। তবে বোতালজাত পানি কিছু পেলেও এর দাম এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যা বেশিরভাগ পরিবারের নাগালের বাইরে।

এর আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে মোহাম্মদ আল শান্তি নামে গাজার এক বাসিন্দা জানান, তারা জামাকাপড় পরিষ্কার করা বন্ধ করে দিয়েছেন। প্রায় চার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে মধ্য গাজার আল-আকসা হাসপাতাল থেকে প্লাস্টিকের বোতলে করে পানি সংগ্রহ করার কথা জানান তিনি।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় পানি, বিদ্যুৎ, খাবার এমনকি জ্বালানির মতো গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল। এ অবস্থায় গাজার বাসিন্দাদের জন্য বিশুদ্ধ পানি খোঁজা কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, গাজায় পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় বাসিন্দারা নোংরা এবং সাগরের পানি পান করতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে করে অঞ্চলটিতে পানিবাহিত রোগের পাশাপাশি স্বাস্থ্য সংকটের উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে বাসিন্দাদের পানিশূন্যতা থেকে মৃত্যুর আশঙ্কা বেড়েছে বহুগুণ।

প্যালেস্টাইন ওয়াটার অথরিটির (পিডব্লিউএ) বরাতে গত ১৭ অক্টোবর ইউনিসেফ জানায়, গাজার বাসিন্দারা এখন দৈনিক তিন লিটারেরও কম পানি দিয়ে রান্না করাসহ জীবনযাপন করছে। যেখানে প্রতিদিন একটি পরিবারে বিশুদ্ধ পানির প্রয়োজন হয় প্রায় ৫০ লিটার।

আরসি-০৬