জাতিসংঘের আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৯

সিলেট মিরর ডেস্ক


জানুয়ারি ২৫, ২০২৪
১০:১১ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ২৫, ২০২৪
০৪:৩১ অপরাহ্ন



জাতিসংঘের আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৯

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে উদ্বাস্তু ও শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ হামলায় অন্তত নয়জন নিহত ও ৭৫ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা ও বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার থেকেই গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিস জুড়ে হামলা ও অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ সময় জাতিসংঘের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরায়েলি বাহিনীর গোলাবর্ষণের কারণে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে জানান গাজায় ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউ এর প্রধান।

ইউএনআরডব্লিউএ)-এর গাজার পরিচালক থমাস হোয়াইট এ হামলাকে যুদ্ধের মৌলিক নিয়ম লঙ্ঘন জানিয়ে হামলার নিন্দা করেছেন।

তিনি বিবিসিকে জানান, স্থানীয় সময় বুধবার বিকেলে জাতিসংঘের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরায়েলই ট্যাঙ্কের দুইটি গোলা আঘাত হানে। ওই আশ্রয়কেন্দ্রে উত্তর গাজা থেকে পালিয়ে আসা ৮০০ মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। হামলায় নয়জন নিহত এবং ৭৫ জনের বেশি আহত হয়েছে বলে জানান তিনি।

গাজার বেশীরভাগ হাসপাতাল বন্ধ ও চিকিৎসা প্রদানে সীমিত ক্ষমতা থাকায় এসব আহত মানুষদের চিকিৎসা সেবা দেওয়াটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানান থমাস।

তিনি আরও জানান ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এসব স্থাপনা নিরাপদ এবং এখানে হামলা চালানো হবে না বলে আশ্বস্ত করেছিলেন।

তবে জাতিসংঘের স্থাপনায় হামলার কথা অস্বীকার করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। বাহিনীটি জানিয়েছে যে, ঘটনাস্থলের কাছাকাছি ইসরায়েলি অভিযান পর্যালোচনা করছে তারা। এছাড়া এই হামলা হামাস দ্বারা হয়েছে কিনা তাও পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটি।

এদিকে দক্ষিণ গাজায় জাতিসংঘের আশ্রয় কেন্দ্রে হওয়া এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, এই হামলাটি ‘অবিশ্বাস্যভাবে উদ্বেগজনক’।

তিনি বলেন, ‘আমরা ইউএনআরডব্লিউএর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আজকের হামলার নিন্দা জানাই। বেসামরিক মানুষকে অবশ্যই সুরক্ষিত করতে হবে এবং নিরাপদ বলে বিবেচিত জাতিসংঘের অবকাঠামোগুলোর সুরক্ষাকে অবশ্যই সম্মান করতে হবে।’

আরসি-০৩