এমসি কলেজের শতবর্ষী ভবন সংরক্ষণের দাবিতে ’৮০’র দশকের ছাত্র নেতৃবৃন্দের স্মারকলিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক


এপ্রিল ৩০, ২০২৪
০৭:৩৬ অপরাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ৩০, ২০২৪
০৭:৩৬ অপরাহ্ন



এমসি কলেজের শতবর্ষী ভবন সংরক্ষণের দাবিতে ’৮০’র দশকের ছাত্র নেতৃবৃন্দের স্মারকলিপি


সিলেটের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ এমসি কলেজের (মুরারিচাঁদ কলেজ) শতবর্ষী ভবনগুলো সংরক্ষণ ও যথাযথ সংস্কারের আহ্বান জানিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন কলেজের আশির দশকের ছাত্র নেতৃবৃন্দ।

আজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল আনাম মো. রিয়াজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে স্মারকলিপি দেন তারা। এসময় উপস্থিত ছিলেন ‘৮০ দশকে এমসি কলেজের ছাত্র এবং গণতান্ত্রিক ছাত্র আন্দোলন ও কলেজ ছাত্র সংসদের নেতৃবৃন্দ। 

স্মারকলিপিতে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ্য করেন, ‘মুরারিচাঁদ কলেজের ক্যাম্পাসে অতিবাহিত হয়েছে আমাদের জীবনের স্বর্ণালী ও গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। কলেজ ক্যাম্পাসে অতিবাহিত সময় আমাদের আজও স্মৃতিকাতর ও গৌরবান্নীত করে।’

তারা আরও উল্লেখ করেন, ‘সিলেটের সরকারী মুরারিচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ঐতিহ্যবাহী আসাম প্যাটার্নের ভবন দুটিসহ কলা ভবন ও লাইব্রেরি ভবন শুধুমাত্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাহিত্য-সংস্কৃতি ও বিদ্যাচর্চা অনুশীলনের ঐতিহাসিক নিদর্শন নয়, এই ভবনসমূহের অনন্য নির্মাণশৈলী স্থাপত্য কলায় এতদ অঞ্চলে এক নবধারার প্রবর্তনও বটে। মুরারিচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মোট ভূমির পরিমাণ ১৪৪ একর। তন্মধ্যে মাত্র ২ একর ভূমির উপর আসাম প্যাটার্নের ভবনদুটি অবস্থিত। এছাড়াও ভিক্টোরিয়ান স্থাপত্যরীতিতে নির্মিত কলা ভবন ও লাইব্রেরি ভবনও ইতিমধ্যে শতবর্ষী। এই অনন্য নির্মাণশৈলীর ভবন সমূহ ক্যাম্পাসের নান্দনিকতার অবিচ্ছেদ অংশ।’

আসাম প্যাটার্নের ভবনদুটি ঘিরে রয়েছে খ্যাতিমান ব্যাক্তিবর্গের স্মৃতি। কলেজ ম্যাগাজিন ও অন্যান্য সূত্র থেকে তার সমন্ধে জানা যায় ১৯২১-১৯২৫ খৃষ্টাব্দের এর মধ্যে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে ভবনদুটিতে বিজ্ঞান ক্লাস শুরু হয়। আসাম প্যাটার্ন ভবনগুলো সিলেট তথা বাংলাদেশের ঐতিহ্য, কাজেই ভবনসমূহ আমাদের ঐতিহ্য। এ ঐতিহ্য রক্ষায় আমদের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে।’ 

স্বারকলিপিতে জানানো দাবিসমূহ হলো- 

১. সিলেটের নির্মাণশৈলীতে ঐতিহ্যিক ‘আসাম টাইপ ইউনিক হেরিটেজ’ এর নিদর্শন শতবর্ষী এমসি কলেজের বাংলা ও সমাজবিজ্ঞানের পুরাতন ভবন দুটি সিলেটের ইতিহাস ও স্থাপত্যশৈলীর ঐতিহ্যের স্মারক হিসেবে সংরক্ষণের দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হোক। কলা ভবন, লাইব্রেরি, কলেজ অফিস, অধ্যক্ষের বাসভবন ও কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে গ্যালারী এসব প্রাচীন স্থাপনাসমূহ যথাযথ ভাবে সংরক্ষণের জোর দাবি জানাই। 

২. কলেজের সকল পুরাতন ভবনের আশু সংস্কার কাজ অবিলম্বে করা হোক।

৩. দীঘি পরিস্কার ও খনন হোক এবং আগাছায় পূর্ণ বৃক্ষরাজির যত্ন নেওয়া হোক।"

স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর কারী শতাধিক প্রাক্তন ছাত্রনেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান করেন অ্যাডভোকেট জাকির আহমদ, অ্যাডভোকেট মোশাহিদ আলী, ছাত্র সংসদের প্রাক্তন ভিপি ওয়াহিদুজ্জামান ওয়াহিদ, এজিএস আলতাফ হোসেন , মিলনায়তন সম্পাদক শাহরিয়ার হোসেন সেলিম , ছাত্রনেতা আব্দুল মালিকসহ প্রমুখ।


এএফ/০৫