সিলেটের ১১ উপজেলায় কে কত ভোট পেলেন

নিজস্ব প্রতিবেদক


মে ০৯, ২০২৪
০২:১৭ অপরাহ্ন


আপডেট : মে ১৬, ২০২৪
১০:৩৫ অপরাহ্ন



সিলেটের ১১ উপজেলায় কে কত ভোট পেলেন


ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে সিলেট বিভাগের ১১টি উপজেলায় নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে সিলেট জেলার ৪ উপজেলা, মৌলভীবাজারের ৩টি এবং সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলার ২টি করে উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। গতকাল সারাদিন ভোটাধিকার প্রয়োগ করে উপজেলাগুলোর জনগণ তাদের নেতৃত্ব নির্বাচন করেছেন। যদিও ভোটার উপস্থিতি খুব কমই ছিল। এক নজরে দেখা যাক কোন উপজেলায় কে কত ভোট পেলেন।

সিলেট জেলা : সিলেট জেলার সদর উপজেলা, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা, গোলাপগঞ্জ উপজেলা ও বিশ্বনাথ উপজেলায় গতকাল বুধবার নির্বাচন সম্পন্ন হয়। 

সিলেট সদর উপজেলা 

চেয়ারম্যান: সিলেট সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. সুজাত আলী রফিক। উপজেলার ৬২টি কেন্দ্রের ফলাফলে তিনি কাপ-পিরিচ প্রতীকে ২৩ হাজার ২৬৭ পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আনারস প্রতীকের প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মো. সামসুল ইসলাম টুনু পান ১৩ হাজার ৮৬৩ ভোট।

স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. মো. খলিলুর রহমান (টেলিফোন) পেয়েছেন ১২ হাজার ৫৯১ ভোট, শ্রমিক লীগ সিলেট জেলা, সভাপতি মো. এজাজুল হক (মোটরসাইকেল) পান ৬ হাজার ৭৯৬ ভোট, মো. আহাদ মিয়া (দোয়াত-কলম) প্রতীক নিয়ে পান ৫ হাজার ৪০১ ভোট ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মিল্লাত আহমদ চৌধুরী চেয়ারম্যান পদে (ঘোড়া) অংশ নিয়ে ৪ হাজার ৮৬৪ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান: ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ প্রার্থীর মধ্যে ১৮ হাজার ৬৪২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন উড়োজাহাজ প্রতীকের প্রার্থী মো. সাইফুল ইসলাম । তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. ওলিউর রহমান টিয়া পাখি প্রতীক নিয়ে পান পেয়েছেন ১১ হাজার ৮৫৮ ভোট ।

অপর প্রার্থী চশমা প্রতীকের মো. জাকির হোসেন ১১ হাজার ৩৭৯, মো. সেলিম আহমদ মাইক প্রতীকে ৯ হাজার ২৩১, বিলাশ ব্যানার্জি বৈদ্যুতিক বাল্ব প্রতীকে ৪ হাজার ৯৩৮ ভোট, নিজাম আহমদ টিউবওয়েল প্রতীকে ৪ হাজার ২৭ ভোট, নুরুল ইসলাম তালা প্রতীকে ২ হাজার ৬৯৮ ভোট এবং রথীন্দ্র লাল দাস বই প্রতীকে পান ৩ হাজার ৪০৮ ভোট।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান: সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাছিনা আক্তার ৩৫ হাজার ৭৯২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাডভোকেট দিলরুবা বেগম কাকলী পান ৩০ হাজার ৫৮১ ভোট।

সিলেট সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী দুই জনই নতুন মুখ। 

দক্ষিণ সুরমা উপজেলা

চেয়ারম্যান: দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ২০ হাজার ৬১৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. বদরুল ইসলাম (টেলিফোন)। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামীম আহমদ মোটরসাইকেল প্রতীকে পান ১৪ হাজার ৯৫৫ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান: ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৯ হাজার ৮৩০ ভোট পেয়ে পুননির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান (মাইক)। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফয়েজ আহমদ (তালা) ১৮ হাজার ২৯০ ভোট পান। 

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান: মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আইরিন রহমান কলি (পদ্মফুল) ২০ হাজার ২৯৮ ভোট পেয়ে পুননির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফাহিমা বেগম (ফুটবল) ১৮ হাজার ৮২০টি ভোট।

বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদ

চেয়ারম্যান: বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর মাত্র ৫৮৪ ভোটের ব্যবধানে জিতে ফের উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান প্রবাসী মোহাম্মদ সুহেল আহমদ চৌধুরী। বিএনপির এই বহিস্কৃত নেতা ১৩ হাজার ৪৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন আহমদ পান ১২ হাজার ৮৫০ ভোট। 

মো. সেবুল মিয়া দোয়াত-কলম প্রতীকে পান ১১ হাজার ৬৯৯ ভোট। এছাড়া আফতাব হোসেন টেলিফোন প্রতীকে ৮হাজার ৭০৩ ভোট, গৌছ খান কৈ মাছ প্রতীকে ৫ হাজার ৭৮৮ ভোট, শামসাদুর রহমান রাহিন শালিক প্রতীকে ২ হাজার ১৫০ ভোট, মো. আব্দুল রোসন চেরাগ আলী ঘোড়া প্রতীকে ১ হাজার ৬৪৪ ভোট, মোহাম্মদ এস আলী এনামুল হক চৌধুরী মোটরসাইকেল প্রতীকে ৯৪১ ভোট, সফিক উদ্দিন উট প্রতীকে ৫১৮ ভোট এবং আকদ্দুছ আলী হেলিকপ্টার প্রতীকে ৪০৩ ভোট পান।

ভাইস চেয়ারম্যান: ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ নেতা মুহিবুর রহমান সুইট মাইক প্রতীকে ১৬ হাজার ৯৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. ইসলাম উদ্দীন বই প্রতীকে পান ১৩ হাজার ৫১২ ভোট।

এছাড়া আব্দুর রব চশমা প্রতীকে পান ১১ হাজার ৪০ ভোট, মো. সিরাজ মিয়া টিউবওয়েল প্রতীকে ৮ হাজার ৩০৫ ভোট, মোহাম্মদ কাওছার খান তালা প্রতীকে ৪ হাজার ৩২৯ ভোট এবং পার্থ সারথি দাশ পাপ্পু টিয়া পাখি প্রতীকে পান ৩ হাজার ৭১৮ ভোট।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান: সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৩ হাজার ৬৫৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন কলস প্রতীকের প্রার্থী মোছা. করিমা বেগম।  তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোছা. জুলিয়া বেগম ফুটবল প্রতীকে পান ১৮ হাজার ১৫৬ ভোট। এছাড়া বেগম স্বপ্না শাহীন প্রজাপতি প্রতীকে পান ১৫ হাজার ৩৪২ ভোট।

গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ

চেয়ারম্যান:  গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম পুনর্নিবাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী থেকে তিনি ৮ হাজার ৭৭২ ভোট বেশি পেয়েছেন। দোয়াত কলম প্রতীকে এলিম পান ৩৭ হাজার ৭৮৯ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবু সুফিয়ান উজ্জ্বল আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ১৭ ভোট। চেয়ারম্যান পদে অপর প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে শাহিদুর রহমান চৌধুরী জাবেদ ঘোড়া প্রতীকে ১৫ হাজার ১৯৭ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন।

ভাইস চেয়ারম্যান:  ভাইস চেয়ারম্যান পদে  পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে ২১ হাজার ৬৩০ ভোট বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন চশমা প্রতীকের প্রার্থী মো. নাবেদ হোসেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো.লবিবুর রহমান টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৫২০ ভোট।

এছাড়া টিয়া পাখি প্রতীক নিয়ে আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ আজম পেয়েছেন ১৫ হাজার ৭৮৮ ভোট, তালা প্রতীক নিয়ে ফরহাদ আহমদ পান ১৫ হাজার ৪১৩ ভোট। বই প্রতীকের প্রার্থী আকমল হোসেন পেয়েছেন ৯ হাজার ৫৩৯ ভোট।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান: অপরদিকে ভাইস চেয়ারম্যান (সংরক্ষিত) পদে সেলিনা আক্তার শীলা ৪৬ হাজার ৭৯৪ ভোট পেয়ে জয় লাভ করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নার্গিস আক্তার পেয়েছেন ৩১ হাজার ৯৫৭ ভোট।



সুনামগঞ্জ জেলা : সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলা ও শাল্লা উপজেলায় গতকাল বুধবার প্রথম দফায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। 

দিরাই উপজেলা

চেয়ারম্যান: উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলায় বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়। তিনি দোয়াত-কলম প্রতীকে ৩০ হাজার ৪৭২ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রঞ্জন কুমার রায় পেয়েছেন ১৮ হাজার ৯১৩ ভোট।

চেয়ারম্যান পদের অপর প্রার্থী বহিস্কৃত উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাপ মিয়া আনারস প্রতীকে পান ১৫হাজার ৫২৫ ভোট। 

ভাইস চেয়ারম্যান: ভাইস চেয়ারম্যান পদে এবিএম মনসুর সুদীপ টিয়াপাখি প্রতীকে ২৪ হাজার ৫২৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফয়সাল আহমদ টিউবওয়েল প্রতীকে পন ১৮ হাজার ৮৬৮ ভোট পেয়েছেন।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান: মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে  ছবি চৌধুরী হাস প্রতীকে  ২৮ হাজার ২৮৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী  হাফসা বেগম সেলাই মেশিন প্রতীকে  পেয়েছেন ২৩ হাজার ২১৩ ভোট।

শাল্লা উপজেলা

চেয়ারম্যান: শাল্লা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রবীন রাজনীতিবিদ অবনী মোহন ঘোড়া প্রতীকে ২৪ হাজার ৪৩২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা বিএনপি নেতা (বহিষ্কৃত)গণেন্দ্র চন্দ্র সরকার আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৪৭৭ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান: উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে অরিন্দম চৌধুরী অপু ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে শর্বরী মজুমদার বিজয়ী হয়েছেন।

এই উপজেলায় মোট ভোটার রয়েছে ৯১ হাজার ৩৬৮ ভোট।



মৌলভীবাজার জেলা : ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে মৌলভীবাজার জেলার জুরি, কুলাউড়া ও বড়লেখা উপজেলায় গতকাল উপজেলা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। 

জুড়ি উপজেলা

চেয়ারম্যান:  মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী কিশোর রায় চৌধুরী মণি ১৯ হাজার ৯১৮টি ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এম এ মাঈদ ফারুক পেয়েছেন ১৫ হাজার ১৮৮। 

ভাইস চেয়ারম্যান: ভাইস চেয়ারম্যান পদে জুয়েল আহমদ (জুয়েল রানা) ২১ হাজার ৩২৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুস শহীদ পান ১৩ হাজার ২৭৯টি ভোট।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান: মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শিল্পী বেগম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পান ২৯ হাজার ৫৬০ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রঞ্জিতা শর্মা পান ১৯ হাজার ৭৭৯টি ভোট।

বড়লেখা উপজেলা

চেয়ারম্যান: বড়লেখা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা আজির উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩২ হাজার ৯১৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ ঘোড়া প্রতীকে পান ২৮ হাজার ৩৬৯ ভোট। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুন্দর আনারস প্রতীকে ১৯ হাজার ৬৩৫ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান: বড়লেখা উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান পদে চশমা প্রতীকে ২৫ হাজার ১১৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আবিদুর রহমান। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শিক্ষক সামছুল ইসলাম তালা প্রতীকে পেয়েছেন ২৩ হাজার ৪৬১ ভোট। এছাড়া টিয়া পাখি প্রতীকে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান তাজ উদ্দিন পেয়েছেন ১৭ হাজার ৮২৩ ভোট এবং টিউবওয়েল প্রতিকে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ দাস নান্টু  পেয়েছেন ১৫ হাজার ৫৯।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান: বড়লেখায় উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগেই মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন রাহেনা বেগম হাছনা। গত ২৩ এপ্রিল জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহীন আকন্দ তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।

কুলাউড়া উপজেলা

উপজেলার পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনের মৌলভীবাজারের ‍কুলাউড়ার উপজেলা ৩৭ হাজার ৫৫৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মো. ফজলুল হক খান।তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম পান ৩৩ হাজার ৮৫২ ভোট। অন্য প্রার্থীদের মধ্যে আনারস প্রতীকে রফিকুল ইসলাম রেনু ১৭ হাজার ২৯৮ ভোট এবং মোটরসাইকেল প্রতীকে কামাল হাসান ৫ হাজার ৫৮৪ ভোট পান।

ভাইস চেয়ারম্যান: কুলাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩১ হাজার ৩৮২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন চশমা প্রতীকের রাজ কুমার কালোয়ার (রাজু)। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টিউবওয়েল প্রতীকের মো. মইনুল ইসলাম পেয়েছেন ৩০ হাজার ৪৮৪ ভোট। এছাড়া বই প্রতীকে মো. আফজাল হোসেন ১৬ হাজার ৯৯০ ভোট, তালা প্রতীকে মো. সাইফুল ইসলাম কুতুব ১৪ হাজার ৭৭৭ ভোট এবং টিয়া পাখি প্রতীকে পুরন উড়াং ৫৬১ ভোট পান।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান: কুলাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৭১ হাজার ৪৬৬ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন নেহার বেগম। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাস প্রতীকের প্রার্থী ফাতেমা ফেরদৌস চৌধুরী পেয়েছেন ২১ হাজার ৬১৬ ভোট।



হবিগঞ্জ জেলা : ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলা ও কানিয়াচং উপজেলায় গতকাল বুধবার নির্বাচন সম্পন্ন হয়। 

আজমিরীগঞ্জ উপজেলা

চেয়ারম্যান: আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. আলাউদ্দিন মিয়া। কাপ-পিরিচ প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১৫ হাজার ১৮২ ভোট । তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও শিবপাশা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলী আমজাদ তালুকদার কৈ মাছ প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ৫০৩ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান: ভাইস চেয়ারম্যান পদে মিলোয়ার হোসেন (তালা) প্রতীকে ১১ হাজার ৫০০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কালীপদ পাল টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ৯ হাজার ২৭৬ ভোট পান।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান: সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান (সংরক্ষিত) পদে মাহমুদা আক্তার রেপা ফুটবল প্রতীক নিয়ে ১৯ হাজার ৪৩৮ ভোট। পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রোকসানা আক্তার হাঁস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৭০৮ ভোট।

বানিয়াচং উপজেলা

চেয়ারম্যান: বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন খান। আনারস প্রতীকে তিনি পান ৪২ হাজার ৪৩৩ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাসেম চৌধুরী মোটরসাইকেল প্রতীকে পান ৩১ হাজার ৮০৩ ভোট।

 

এএফ/০৩