সিলেট মিরর-এর একটি ছবি, জাতীয় থেকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে

নিজস্ব প্রতিবেদক


মে ১৩, ২০২৪
০৮:০৯ অপরাহ্ন


আপডেট : মে ১৫, ২০২৪
০৫:৪২ অপরাহ্ন



সিলেট মিরর-এর একটি ছবি, জাতীয় থেকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে


‘একান্তে দুজন, কী কথা...’ শিরোনামে গত শনিবার (১১ মে, ২০২৪) দৈনিক সিলেট মিরর-এর প্রথম পাতায় একটি ছবি প্রকাশিত হয়। ছবির বিষয়বস্তু-একান্তে আলাপ করছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

 ছবিটি প্রকাশিত হওয়ার পর ব্যাপক সাড়া পড়ে যায়। জনমনে কৌতূহল জন্ম নেয়। অনেকে নানাভাবে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা কী আলোচনা করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তার প্রতিক্রিয়া/প্রতিফলন দেখা যায়। নিজস্ব ভাবনা/ধারণা থেকে অনেকে নিজেদের মতো করে মন্তব্য করেছেন, বিশ্লেষণ করেছেন। পরে দেশের বিভিন্ন শীর্ষ গণমাধ্যমেও বিষয়টি প্রাধান্য পায় এবং গুরুত্ব সহকারে অনেক গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করে। কারও দৃষ্টিতে ‘গোপন বৈঠক’, কারও দৃষ্টিতে ‘একান্ত বৈঠক’। এমন অনেক শিরোনাম, বিশ্লেষণ, মন্তব্য। দেশের গণমাধ্যমগুলোর মতো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি বাংলা অনলাইনে গুরুত্ব সহকারে সংবাদ প্রকাশ করে। 






বিবিসির সংবাদের লিংক-

আলোচিত বৈঠকে কী নিয়ে কথা বললেন সিলেটের বর্তমান ও সাবেক মেয়র?

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি বাংলা রবিবার (১২ মে) `আলোচিত বৈঠকে কী নিয়ে কথা বললেন সিলেটের বর্তমান ও সাবেক মেয়র?' শিরোনামে সংবাদটি গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করে।

সংবাদে ‘বৈঠক পরিকল্পিত?’ সাব হেডিংয়ে তারা লিখেছে- `সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বৈঠকের যে ছবিটি নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা হচ্ছে, সেটি তোলা হয়েছে গত শুক্রবার।

ওইদিন সন্ধ্যায় সিলেটের স্থানীয় একটি পত্রিকার কার্যালয়ে তারা বৈঠক করেন বলে বিবিসি বাংলাকে জানান সিলেট সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর।

তবে বৈঠকটি পূর্ব-পরিকল্পিত বা গোপন কোনও বৈঠক ছিল না বলে দাবি করেছেন তিনি।'





প্রথম আলো’র সংবাদের লিংক-

সিলেটে বর্তমান ও সাবেক মেয়রের ‘গোপন বৈঠক’ ঘিরে কৌতূহল

এর আগে ১১ মে শনিবার সিলেটে বর্তমান ও সাবেক মেয়রের ‘গোপন বৈঠকঘিরে কৌতূহল’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে দেশের শীর্ষ গণমাধ্যম প্রথম আলো। গণমাধ্যমটি সেখানে উল্লেখ করে- `সিলেট নগরে নির্ধারিত নতুন গৃহকর নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। কেউ বলছেন, বিদায়ী মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী দায়িত্ব হস্তান্তরের আগে গৃহকর নির্ধারণ করেছেন। কেউ কেউ বলছেন, বিদায়ী মেয়রের স্থগিত রাখা গৃহকরের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন নতুন মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

নতুন ও সাবেক মেয়রের পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা যখন তুঙ্গে, তখনই তাঁরা দুজন ‘গোপন বৈঠক’ করে নতুনভাবে আলোচনায় এলেন। তাঁদের বৈঠকের খবরটি আজ শনিবার জানাজানি হয়। বৈঠক-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সিলেটের একটি আঞ্চলিক সংবাদপত্রের কার্যালয়ে গতকাল শুক্রবার বিকেলে এ বৈঠক হয়। বর্তমান ও সাবেক মেয়র গৃহকর নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতেই এ বৈঠকে বসেছিলেন।'





সমকাল এর সংবাদের লিংক-

সিলেটের বর্তমান ও সাবেক মেয়রের ‘একান্ত বৈঠক’ ঘিরে কৌতূহল


একই ছবিকে কেন্দ্র করে সংবাদটি প্রকাশ করে দেশের শীর্ষ স্থানীয় গণমাধ্যম  দৈনিক সমকাল। `সিলেটের বর্তমান ও সাবেক মেয়রের ‘একান্ত বৈঠক’ ঘিরে কৌতূহল'-শিরোনামে সংবাদটি তারা ১১ মে শনিবার প্রকাশ করে। সংবাদে বলা হয়-‘হঠাৎ করে একান্ত বৈঠক করলেন সিলেটের বর্তমান মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। হোল্ডিং ট্যাক্স ও দুই মেয়রের কর্মকাণ্ড নিয়ে যখন জোর আলোচনা, ঠিক তখনই একান্তে বৈঠক করলেন তারা।

শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় একটি পত্রিকা অফিসে তাদের সাক্ষাৎ হয়। সেখানে দু’জনই খোলা মনে কথা বলেন।

জানা যায়, সাবেক মেয়র বর্ধিত কর কমানোর জন্য নতুন মেয়রের কাছে আহ্বান জানান। অনির্ধারিত এই বৈঠকের খবর শনিবার জানাজানি হয়।'





আজকের পত্রিকার সংবাদের লিংক-

‘গোপন বৈঠকে’ যা আলোচনা করলেন সিলেটের সাবেক ও বর্তমান মেয়র’

একইভাবে ১২ মে রবিবার ‘গোপন বৈঠকে’ যা আলোচনা করলেন সিলেটের সাবেক ও বর্তমান মেয়র-শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে দেশের শীর্ষ স্থানীয় জাতীয় দৈনিক আজকের পত্রিকা। গণমাধ্যমটির সংবাদে বলা হয়- `বর্তমান ও আগের মেয়রের পক্ষে–বিপক্ষে আলোচনা যখন ‘টক অব দ্য টাউন’ ঠিক তখনই দুই মেয়রের ‘গোপন বৈঠক’–এর খবর চাউর হয়েছে নগরজুড়ে। আলোচনায় যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। বৈঠকের খবরটি পরদিন শনিবার (১১ মে) জানাজানি হয়। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় সিলেটের একটি স্থানীয় দৈনিক পত্রিকার কার্যালয়ে দুই মেয়র প্রায় ৩০ মিনিট অবস্থান করেন। অন্তত ১০ মিনিট গৃহকর নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণে আলাপ করেন সাবেক–বর্তমান মেয়র। আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ওই দৈনিকের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র। বৈঠকে তাঁরা এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি বলেও দাবি ওই সূত্রের।'


এ সবকিছু এটাই প্রমাণ করে, সিলেট সিটি করপোরেশনের সম্প্রতিবর্ধিত হোল্ডিং ট্যাক্স-ইস্যু নিয়ে সাধারণ মানুষ অনেক বেশি সচেতন ও তৎপর। তারা নানাভাবে জানার ও বোঝার চেষ্টা করছেন- এ নিয়ে কোনো নতুন সিদ্ধান্ত আসছে কি না। মত-মতান্তরের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বর্তমান ও সাবেক মেয়রের বৈঠকটি তাই কৌতূহলের মূল উপজীব্য। 

সেদিন কী ঘটেছিল? এটি কি পূর্বনির্ধারিত বৈঠক ছিল? নাকি কাকতাল? ‘গোপন বৈঠক’, ‘একান্ত বৈঠক’ নানা প্রশ্ন। এসব বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে বর্তমান সাবেক মেয়রের পাশাপাশি দৈনিক সিলেট মিরর সম্পাদককেও।

বর্তমান ও সাবেক দুই মেয়রই বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলেছেন, এটি পূর্বনির্ধারিত বৈঠক নয়। হঠাৎ করে এক জায়গায় দেখা হয়ে গেছে, তবে একথা ঠিক যে তারা হোল্ডিং ট্যাক্স ইস্যুতে কথা বলেছেন। সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর কাছ থেকে পরামর্শ নিয়েছেন বর্তমান মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

এ বিষয়ে সিলেট মিরর সম্পাদক আহমেদ নূর বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, ‘এটা কাকতাল। বতর্মান মেয়রের সঙ্গে আমার পূর্বনির্ধারিত বৈঠক ছিল। একপর্যায়ে সাবেক মেয়র উপস্থিত হন।’

হোল্ডিং ট্যাক্স ইস্যুতে সরগরম এই সময়ে এ বৈঠক হওয়ায় সিলেটের অনেকের কৌতূহল তারপরও থাকছে। থাকারই কথা। বৈঠকে আলোচনার অনেককিছুই তাঁদের তিনজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে। থাকাটাই স্বাভাবিক। সময়ে হয়তো সব কৌতূহলের জবাব মিলবে।  


এএফ/০১