নিজস্ব প্রতিবেদক
মে ২০, ২০২৪
০৫:২০ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মে ২০, ২০২৪
০৬:১৯ অপরাহ্ন
প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতির কারণে দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ এখন প্রায় নির্মূল করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) আব্দুল্লাহ আল-মামুন। তিনি বলেন, ‘জঙ্গিবাদ ও অপরাধ নির্মূল করা না গেলেও নিয়ন্ত্রণ করা গেছে। যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পুলিশের প্রস্তুতি আছে।’
রবিবার (১৯ মে) দুপুরে সিলেট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পুলিশ প্রধান এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, ‘সারা দেশে জঙ্গিরা এক সঙ্গে ৬৩ জেলায় বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জানান দিয়েছিল তাদের সেই সক্ষমতা রয়েছে। তাদের সেই দৃষ্টতাকে কিন্তু গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা বলিনা যে আমরা পুরোপুরি নির্মূল করেছি। যেকোনো অপরাধ নির্মূল করা হয়তো সম্ভব না তবে আমরা কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি।
আগামী দিনে সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী দিনে যথাযথভাবে পেশাদারিত্বের সঙ্গে আমাদের সকল সদস্য যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছি। বাংলাদেশ পুলিশের সামনে যে কোনো চ্যালেঞ্জ আসলে সে চ্যালেঞ্জ কিভাবে মোকাবিলা করতে বাংলাদেশ পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।’
নির্বাচনী দায়িত্ব পালন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচিন কমিশন যেভাবে আমাদের নির্দেশনা দেবে তা আলোকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে আমাদের সকল ইউনিটকে নির্দেশনা দেওয়া আছে। অতীতেও আমরা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেছি।
আপনাদের সহযোগিতা পেয়েছি। দায়িত্ব পালন করে প্রশংসীতও হয়েছি।’
স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলা হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘যুগপযোগী প্রশিক্ষণ এবং আধুনিকায়ন করছি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে করবেন। এর মধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন স্মার্ট বাংলাদেশের।
এজন্য স্মার্ট পুলিশ দরকার। সেই স্মার্ট পুলিশ গড়ে তোলার জন্য যে আধুনিকায় দরকার সেটি আমরা গড়ে তুলেছি। পাশাপাশি প্রযুক্তির ব্যবহার আরো বৃদ্ধি করেছি।’
মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পেরে পুলিশ গর্বিত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ঈদের সময় সাধারণ মানুষ এদেশের সম্মানীত নাগরিকবৃন্দ যার যার গন্তব্যে যাচ্ছেন। আমাদের পুলিশ সদস্যরা এই নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করার জন্য ট্রাফিক ডিউটি এবং আইনশৃঙ্খলার ডিউটি করছি। আমাদের আত্মীয়-স্বজন টিভিতে দেখছে হাজার হাজার মানুষ যার যার গন্তব্যে যাচ্ছে। আমাদের সন্তানরা ভাবে আমাদের বাবাও মনে হয় আসবে, আমাদের পরিবার ভাবে আমরাও যাবো। কিন্তু তারা দিন শেষে দেখে সবাই এসেছে কিন্তু আমাদের লোকজন আসেনি।’
এএফ/০২