গোয়াইনঘাট উপজেলার ৭০ শতাংশ প্লাবিত

মিনহাজ মির্জা, গোয়াইনঘাট


মে ৩১, ২০২৪
১২:২৭ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মে ৩১, ২০২৪
১২:২৭ পূর্বাহ্ন



গোয়াইনঘাট উপজেলার ৭০ শতাংশ প্লাবিত


সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নেই বন্যার পানি বেড়ে চলছে। উপজেলার সবক'টি ইউনিয়নের চতুর্দিকে পানিতে থই থই করছে। উপজেলার প্রায় ৭০ শতাংশ বন্যাকবলিত হয়েছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। এতে বসতবাড়িতে কোমর সমান পানিতে নিমজ্জিত, রাস্তাঘাটে পানি উঠে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অনেক জায়গায়।

সরেজমিন দেখা গেছে, বন্যায় বাসাবাড়ির জিনিসপত্র, মালামাল নষ্ট হচ্ছে। ঘরে পানি উঠলেও অনেকে ঘরের মালামাল রেখে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে আগ্রহী নন। ঘরের উনুনটাও তলিয়ে গেছে। রান্নাবান্না নেই। নেই শুকনো খাবারও। বর্তমানে এমন পরিস্থিতি সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বন্যা কবলিত এলাকার। মানুষের বাড়িঘরে দ্রুত পানি ডুকে পড়ায় অনেক মানুষ ঘরবন্দী হয়ে পড়েছেন।

বুধবার সকাল থেকেই গোয়াইনঘাট উপজেলায় ভয়াবহ বন্যার আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে। চতুর্দিকে পানিতে থই থই করছে।বুধবার রাত থেকেই পানি আগের চেয়ে বেড়েছে বলে জানা গেছে।সময় যত যাচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি ততই অবনতির দিকে। মানুষের বাড়িঘরে পানি উঠে চরম বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। বন্যাকবলিত মানুষরা বলছেন, এবারের বন্যা ২০২২ সালের বন্যাকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। উপজেলাবাসী এমন ভয়াবহ বন্যা দেখেননি অনেক বছর। 

পাহাড়ি ঢলের পানি সারি-পিয়াইন ও ডাউকি নদী দিয়ে এলাকায় দ্রুত গতিতে বাড়ছে। এতে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পূর্ব জাফলং, মধ্য জাফলং, পশ্চিম জাফলং, পূর্ব ও পশ্চিম আলীরগাঁও, রুস্তমপুর, বিছনাকান্দি, লেঙ্গুড়া, ডৌবাড়ি, ফতেহপুর, তোয়াকুল, নন্দীরগাঁও এবং সদর ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে।

উপজেলা সদরের সাথে সবক'টি ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ার ফলে অনেকে ভোগান্তিতে পড়ছেন। এছাড়াও মানুষজন গবাদি পশু নিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে। উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে পানি বেড়ে উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

আসামপাড়া এলাকার সমলা বেগম জানান, এমন ভয়াবহ বন্যা আগে দেখিনি। খুব দ্রুত গতিতে পানি বাড়ছে। পানি বেড়ে ঘরের সমস্ত জিনিস নষ্ট করছে। উনুনও জ্বলছে না ঘরে। পরিবার-পরিজন নিয়ে খুব ভয়ে দিন কাটছে।

এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলার ৭০ ভাগের বেশি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি মেম্বারদের সমন্বয়ে স্থানীয় ভলান্টিয়ারদের মাধ্যমে উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে। পানি বন্দী মানুষকে উদ্ধারে জাফলং পর্যটক ঘাটের দেড় শতাধিক নৌকা এবং প্রতিটি ইউনিয়নের স্থানীয় নৌকা সমূহ ব্যবহার হচ্ছে।’

সকলকে সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে অনেক বানভাসী মানুষকে উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে, কার্যক্রম চলমান থাকবে।’


এএফ/০৬