বন্যায় এক মিনিটও বন্ধ থাকবে না সিসিকের কার্যক্রম: মেয়র আনোয়ারুজ্জামান

সিলেট মিরর ডেস্ক


জুন ১৯, ২০২৪
০৩:২৩ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুন ১৯, ২০২৪
০৩:৩০ অপরাহ্ন



বন্যায় এক মিনিটও বন্ধ থাকবে না সিসিকের কার্যক্রম: মেয়র আনোয়ারুজ্জামান
নগর ভবনে জরুরি সংবাদ সম্মেলন


চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে সিলেট সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম এক মিনিটের জন্য বন্ধ হবে ঘোষণা দিয়ে সিসিক মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, ‘বন্যায় সিলেটে অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সিসিকের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করে সন্ধ্যায় জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সারা দিন আমি ও আমার পরিষদের সকল কাউন্সিলর বন্যাকবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন।’

মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাত নয়টায় নগরভবনের সম্মেলনকক্ষে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন তিনি। 

সার্বিক পরিস্থিতির জন্য সিসিকের তদারকি টিম গঠন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করবো। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মানুষ যেন ভোগান্তি না পোহান সেদিকে নজর রাখা হয়েছে। শুকনো ও রান্না করা খাবার তাদের দেওয়া হচ্ছে। সঙ্গে প্রয়োজনীয় ওষুধও দেওয়া হচ্ছে। বন্যার্তদের দুর্ভোগ কমাতে যথাযথ সব করা হবে।’

সিসিক মেয়র আরও বলেন, ‘যতদিন বন্যার পানি না কমছে ততদিন আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। নগরভবনে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। এখান থেকে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এসব কার্যক্রম আমি নিজে তদারিক করব। এক মিনিটের জন্যও আমাদের কার্যক্রম বন্ধ হবে না।’

সরকারের উচ্চ মহল ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে আজ দফায় দফায় যোগাযোগ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা সিলেটের প্রতি অতি আন্তরিক। সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় যত ধরনের সহযোগিতা দরকার করবেন।’

সংবাদ সম্মেলনে মেয়র আনোয়ারুজ্জামান বলেন, দল-মত নির্বিশেষ সবাইকে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে হবে। পাশাপাশি প্রবাসীরাও আশা করি এ দুর্যোগ সময়ে সিলেটবাসীর পাশে দাঁড়াবেন।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার পর্যন্ত সিলেটজুড়ে ৮৬৪টি গ্রাম ও এলাকা প্লাবিত। এসব গ্রাম ও এলাকার ৩ লাখ ৭১ হাজার ৫০৭ জন মানুষ বন্যা আক্রান্ত। এর মধ্যে  সিলেট মহানগরের ৪টি ওয়ার্ডের ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দী।  জেলা ও মহানগর মিলিয়ে ৬১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে নগরে ৮০টি। এছাড়া নগরের মধ্যে অনেক প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পানির নিচে রয়েছে। অনেক রাস্তায় নৌকা দিয়ে মানুষজন চলাচল করছেন।


এএফ/০১