কোম্পানীগঞ্জে বন্যার্তদের খাদ্যসামগ্রী দিলো বসুন্ধরা শুভসংঘ

কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি


জুলাই ১৪, ২০২৪
০৬:৪৬ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুলাই ১৪, ২০২৪
০৬:৫২ পূর্বাহ্ন



কোম্পানীগঞ্জে বন্যার্তদের খাদ্যসামগ্রী দিলো বসুন্ধরা শুভসংঘ


সিলেটের সীমান্তবর্তী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বন্যাদুর্গত অসহায় মানুষদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী করেছেন ‘বসুন্ধরা শুভসংঘ’। 

শনিবার (১৩ জুলাই) বিকাল ৪টায় নবগঠিত বসুন্ধরা শুভসংঘ কোম্পানীগঞ্জ শাখার উদ্যোগে স্থানীয় শহীদ স্মৃতি টুকেরবাজার উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ প্রাঙ্গণে বন্যার্ত পরিবারগুলোর মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।

খাদ্যসামগ্রীর প্রতিটি প্যাকে ছিল চাল, ডাল, আলু, মুড়ি, বিস্কুট।


বসুন্ধরা শুভসংঘের দেওয়ায় খাদ্যসামগ্রী পেয়ে দারুণ খুঁশি উপজেলার টুকেরগাঁও গ্রামের বিধবা শুকতারা বেগম। নিজের প্রতিক্রিয়ায় বললেন, ‘স্বামী নাই। পাঁচ জনের সংসার চালাতে হিমশিম খাই। এই চাল, ডালসহ খাদ্যসামগ্রীতে আমাদের কয়েকটা দিন একটু ভালো যাবে।’ পাশে দাঁড়ানোর জন্য বসুন্ধরা শুভ সংঘের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘আল্লাহ বসুন্ধরার সবার ভালো করুক।’

বসুন্ধরা শুভসংঘ কোম্পানীগঞ্জ শাখার সভাপতি শরীফ আহমদ, সাধারণ সম্পাদক কবির আহমদসহ শুভসংঘের নেতৃবৃন্দ বন্যার্তদের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কালের কণ্ঠ পত্রিকার সিলেট ব্যুরো প্রধান সাংবাদিক ইয়াহইয়া ফজল, শুভসংঘের সহ-সভাপতি মারজান উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান হাবিব পলাশ, মোশাররফ হোসেন শাহিন, অর্থ সম্পাদক নাদিব হাসান আরমান, সহ অর্থ সম্পাদক নাজমুল হাসান, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আবু হোসেন পুষ্প, ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্পনা সম্পাদক মাহমুদুল হাসান নাঈম, কার্যকরি সদস্য নবীন চৌধুরী, আলহাজ উদ্দিন, ছাত্র নেতা মাইনুল ইসলাম, জিহাদ আলী প্রমূখ।


শুকতারা বেগমের (৫৫) স্বামী মারা গেছেন দেড় বছর আগে। সাত মেয়ের মধ্যে তিন জনের আগে বিয়ে হলেও বাকি চার মেয়েকে নিয়ে এখন অকুলপাতারে পড়েছেন তিনি। মরার উপর খড়ার ঘা’য়ের মতো বন্যা তার জীবন সংগ্রামকে আরো কঠিন করে দিয়েছে। চার মেয়ের মধ্যে ১৩ বছরের সানিয়া আক্তার (১৩) ঝালমুড়ি বিক্রি করে মাকে সাহায্যের চেষ্টা করে।    

শুকতারা বেগমের মতো ত্রাণ হাতে পেয়ে হাসি ফুটছে অসংখ্য বন্যার্তের মুখে। দেড় মাসের অধিক সময় ধরে বন্যাক্রান্তদের অনেকেই প্রথমবার ত্রাণ পেয়েছেন। 


সাড়ে তিন বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় পা হারানো হানিফ মিয়া স্ট্রেচারে ভর করে এসেছিলেন খাদ্য সামগ্রী নিতে। সঙ্গে আসা মেয়ের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দিলে দুজনের মুখেই দেখা দেয় হাসির ঝিলিক। হানিফ মিয়া বলেন, ‘এবারের বন্যায় কেউ ত্রাণ দেয়নি। প্রথম ত্রাণ পেলাম বসুন্ধরার। আল্লাহ আপনাদের আরো তৌফিক দিক।’


এএফ/০১