কোটা আন্দোলন: সমন্বয়কদের জিম্মি করে বিবৃতি আদায়ের অভিযোগে শাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ

শাবিপ্রবি প্রতিনিধি


জুলাই ২৯, ২০২৪
১১:২৬ অপরাহ্ন


আপডেট : জুলাই ২৯, ২০২৪
১১:২৬ অপরাহ্ন



কোটা আন্দোলন: সমন্বয়কদের জিম্মি করে বিবৃতি আদায়ের অভিযোগে শাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ


বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের জিম্মি করে বিবৃতি আদায় করা হ‌য়ে‌ছে ব‌লে দা‌বি ক‌রে‌ছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযু‌ক্তি বিশ্ব‌বিদ‌্যাল‌য়ে আ‌ন্দোলনর শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার প্রতিবা‌দে ও সারাদেশে গুম-হত্যার বন্ধ করা, মামলা প্রত্যাহার ও অপরাধীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন শাবিপ্রবির আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভে সিলেটের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন।

আজ সোমবার (২৯ জুলাই) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, সোমবার বেলা ৩টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সামনে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। এতে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, লিডিং ইউনিভার্সিটি, মেট্রোপলিটন, টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট, এম সি কলেজে, সিলেট সরকারি কলেজ, মদন মোহন কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা গেছে।

এসময় শিক্ষার্থীরা 'এক-দুই-তিন-চার, শেখ হাসিনা স্বৈরাচার'; 'স্বৈরাচারের গদিতে, আগুন লাগাও একসাথে'; 'হামলা করে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না'; ' মামলা করে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না'; 'ভাইয়ের ওপর হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’; ক্যাম্পাসে পুলিশ কেন? প্রশাসন জবাব চাই'; ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’; 'আপোস না সংগ্রাম? সংগ্রাম সংগ্রাম'; 'চাইতে গেলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’; 'তুমি কে? আমি কে? রাজাকার রাজাকার, কে বলেছে? কে বলেছে? সরকার সরকার';  ইত্যাদি স্লোগান দেন।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া অভিভাবক ছালমা আক্তার (ছদ্মনাম) বলেন, আমার ছেলে-মেয়েদের পুলিশ হামলা করছে, গুলি কর মারছে, ঘরে আর বসে থাকতে পারছি না। তাই তাদের সাথে আন্দোলনে চলে এসেছি। এখন পুলিশ কিংবা অন্য যেই আসে আমরা তাদের প্রতিহত করব।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শাবিপ্রবির ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়ক ফয়সাল আহমেদ বলেন, আমাদের সমন্বয়কদের জিম্মি করে তুলে নেওয়া হয়েছে, তাদেরকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করার পর রোববার রাতে অস্ত্রের মুখে তাদের কাছ থেকে আন্দোলন প্রত্যাহারের ভূয়া বিবৃতি পাঠ করানো হয়। ছাত্র সমাজ তা প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরা আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।

আন্দোলনে যুক্ত থাকায় পরিবারের সদস্যদের গুম-হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ এনে তিনি বলেন, আমরা কোথাও নিরাপদবোধ করছি না। আমাদের পরিবারও নিরাপদে নেই। তারা আমাদের ও আমাদের পরিবারকে নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে হত্যার ভয় দেখাচ্ছে। তাদেরকে বলতে চাই নায্য অধিকার আদায়ে মৃত্যুর প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে এসেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তা চলমান থাকবে।

তিনি আরও বলেন, শিশু থেকে শুরু করে, শিক্ষার্থী, শ্রমিক অনেককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তাই এসব হত্যাকান্ড দ্রুত বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এতে সিলেটের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চার শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।


এনএ-০১/ এএফ-০৮