সিলেট মিরর ডেস্ক
জুলাই ৩১, ২০২৪
০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন
আপডেট : জুলাই ৩১, ২০২৪
০৫:২৯ অপরাহ্ন
নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে জামায়াত-শিবিরকে বুধবারের (৩১ জুলাই) মধ্যে নিষিদ্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
এর আগে গত সোমবার আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ১৪ দলের সভায় জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভার পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের সভার সিদ্ধান্ত জানান।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটি অত্যন্ত স্পষ্ট। প্রধানমন্ত্রীও তাকে নির্দেশ দিয়েছেন বুধবারের মধ্যে একটি ব্যবস্থা নেওয়ার। তিনি কিছুক্ষণ পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে বসবেন। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কোনো আইনি প্রক্রিয়ায় হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জাবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, কোনো দলকে যখন নিষিদ্ধ করা হয়, তখন সেটি নির্বাহী আদেশেই হয়। যুদ্ধাপরাধের দায়ে বিচার করা এককথা, আর দল নিষিদ্ধ করা আরেক কথা।
আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যারা কোটা আন্দোলন করেছিলেন, তারা কিন্তু বলেছেন, এই সহিংসতার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সরকারের কাছে তথ্য উপাত্ত আছে জামায়াত, বিএনপি, ইসলামী ছাত্রশিবির ও ছাত্রদলের যারা জঙ্গি, তারাই এটা করেছে।
দলটিকে যদি নিষিদ্ধ করা হয়, তা হলে দেশের আইনশৃঙ্খলা ও রাজনীতিরও অনেক উন্নতি হবে।
প্রসঙ্গত, উচ্চ আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। দলটির ছাত্রসংগঠনের নাম ইসলামী ছাত্রশিবির। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসির রায়ও কার্যকর করা হয়েছে। জামায়াতের পক্ষ থেকে নিবন্ধন বাতিল করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছিল।
তবে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর জামায়াতের পক্ষের আপিল খারিজ করে দেন। ফলে দলটির নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে। যুদ্ধাপরাধের দায়ে দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিচার করার জন্য একটি আইনের খসড়া কয়েক বছর আগে তৈরি করেছে আইন মন্ত্রণালয়। পরে সে বিষয়ে অগ্রগতি হয়নি।
এএফ/০৪