নিজস্ব প্রতিবেদক
আগস্ট ০৫, ২০২৪
০২:০৯ পূর্বাহ্ন
আপডেট : আগস্ট ০৫, ২০২৪
০২:০৯ পূর্বাহ্ন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে সিলেট নগর ও বিভিন্ন উপজেলায় ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে ৫ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছেন। রাত নয়টা পর্যন্ত সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২ জনের লাশ এসেছে, আহত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৮২ জন।
নিহতরা হলেন- উপজেলার বারকুট গ্রামের মো. মকবুল আলীর ছেলে ব্যবসায়ী তাজ উদ্দিন (৪৩), উপজেলার শিলঘাটের বাসিন্দা সানি আহমদ (১৮), ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নের নিশ্চিন্ত গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে নাজমুল ইসলাম, মিনহাজ (২২) ও গৌজ (৪৪)।
এর মধ্যে তাজ উদ্দিন ও সানি আহমদের মৃত্যুর বিষয়টি সিলেট মিররকে নিশ্চিত করেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মমর্তা (আরএমও) ডা. সুদর্শন সেন। অপর তিনজনের মধ্যে দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল হাসপাতালের উপ পরিচালক ড. সৌমিত্র চক্রবর্তী সন্ধ্যায় দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করলেও নাম নিশ্চিত করতে পারেননি। পরে রাত নয়টার দিকে ওসমানী হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ইএমও জামান জানান-মিনহাজ ও গৌজের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘তাদের মৃত অবস্থায় বিকালে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। নিহত অপরজন নাজমুলের বাবা তৈয়ব আলী ছেলের মৃত্যুর বিষয়টি স্থানীয় গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচি পালন করতে আন্দোলনকারীরা সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকা দক্ষিণ এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এসময় পুলিশ ও বিজিবি সেখানে অবস্থান করছিল। পুলিশ আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিতে গেলে তাদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়। দুই ঘন্টাব্যাপি সংঘর্ষের এক পর্যায়ে ছাত্রলীগও জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে পুলিশ ও বিজিবিকে লক্ষ্য করে আন্দোলনকারীরা ইট-পাটকেল ছুড়েন। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুলি, টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ গোলাপগঞ্জ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। বেলা ২টার দিকে ধারাবহরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে কিছু মানুষ জড়ো হলে সেখানে পুলিশ ও বিজিবি আসলে উত্তেজনা দেখা দেয়। এসময় সংঘর্ষ বাঁধে। তিন ঘন্টা ধরে চলে সংঘর্ষ। এসময় শিক্ষার্থীসহ, আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও আহত হন। বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে পুলিশকে ধাওয়া দিয়ে আন্দোলনকারীরা ঢাকা দক্ষিণে উপজেলা স্বাস্ত্য কমপ্লেক্সের সামনে নিয়ে আসলে সেখানে পুলিশ গুলি চালায়। এসময় সানি, নাজমুল ও তাজ নিহত হন। পরে সানি ও তাজকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। তার আগেই তাদের মৃত্যু হয়।
এএফ/০২