শ্রীমঙ্গলে ক্লাবে সেনাবাহিনীর অভিযানে বিদেশি মদ, ডলার জব্দ

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি


আগস্ট ১৬, ২০২৪
০৩:৫৬ অপরাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ১৭, ২০২৪
০২:৩৬ পূর্বাহ্ন



শ্রীমঙ্গলে ক্লাবে সেনাবাহিনীর অভিযানে বিদেশি মদ, ডলার জব্দ


মৌলভীবাজার জেলায় ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে শ্রীমঙ্গল শহরতলীর উত্তরসুর এলাকার ‘শ্রীমঙ্গল ক্লাবে’ অভিযান চালিয়ে দেশি-বিদেশী মদ, ডলার, নগর অর্থসহ নানা অবৈধ দ্রবাদি জব্দ করেছে সেনাবাহিনীর একটি দল। এসময় একজনকে আটক করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) রাত সাড়ে আটটায় শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলার দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর মেজর মেজবা ও মেজর ইমরানের নেতৃত্বে  শ্রীমঙ্গল ক্লাবে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে থানা পুলিশ অভিযানে যোগ দেয়।  অভিযানের উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সালাউদ্দিন বিশ্বাস।

এ সংক্রান্ত ভিডিও প্রতিবেদন


জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনীর দল। তারা সেখানে থাকা ৭৯ বোতল বিদেশি মদ, দেশি মদ, বিয়ার, ৩৪৫ ইউএস ডলার, নগদ ৪৫ হাজার টাকা ও বিপুল পরিমাণে জন্মবিরতিকরণ বড়ি ও বিভিন্ন দ্রব্যাদি জব্দ করে। এসময় মিঠুন পাল নামে একজনকে আটক করা হয়।

মিঠুন উপজেলা আশিদ্রোন ইউনিয়নের হরিণাকান্দি এলাকার অমলেন্দু পালের ছেলে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিঠুন পাল।

 নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সালাউদ্দিন বিশ্বাস বলেন, গত এক বছর থেকে অনুমোদনহীন এ ক্লাবে অবৈধভাবে মদ পান করতেন জেলার বিভিন্ন মাদকসেবী ব্যবসায়ী ও আমলারা। জন্মবিরতিকরণ বড়ি ও ব্যবহৃত কনডম পাওয়াতে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে, এখানে অসামাজিক কর্মকান্ড পরিচালিত হতো ‘

 এদিকে সেনাবাহিনীর এ অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় গ্রামবাসী। তারা বলেন,  ক্লাবের বৈধ কোন লাইসেন্স ক্লাবের কোন সদস্য দেখাতে পারেনি। 

শ্রীমঙ্গল ক্লাবের সভাপতি আবু সুলতান মো. ইদ্রিস লেদু মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

 এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর মেজর মেজবা জানান, ‘মিঠুন পাল গত বুধবার রাতে মদ পান করে সবুজবাগ এলাকায় মানুষের ওপর হামলা করে। পরে এলাকাবাসীর হাতে সেও জখমপ্রাপ্ত হয়। মদ কোথায় থেকে পান করেছে এমন জিজ্ঞাসাবাদে সে শ্রীমঙ্গল ক্লাবের সদস্য জানালে সেখানে বৃহস্পতিবার রাতে এ অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ মদসহ বাকী দ্রবাদি জব্দ করা হয়।


জিকে-০১/এএফ-০২