এবার সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আজবাহারসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক


আগস্ট ১৯, ২০২৪
০৭:৫৪ অপরাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ২০, ২০২৪
০৯:০৯ অপরাহ্ন



এবার সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আজবাহারসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা


সিলেটের স্থানীয় দৈনিক জালালাবাদ-এর ‍নিজস্ব প্রতিবেদক এবং জাতীয় দৈনিক নয়া দিগন্ত-এর সিলেট প্রতিনিধি এটিএম তুরাব হত্যার ঘটনায় এবার আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় সদ্য সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, এমএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (ক্রাইম, উত্তর) মো. সাদেক দস্তগীর কাউছার, অতিরিক্ত উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

আজ সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে সিলেটের অতিরিক্তি মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আব্দুল মোমেনের আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেন নিহতের ভাই আবুল হাসান মো. আজরফ (জাবুর)। মামলায় 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের অন্যতম আইনজীবী মো. আব্দুর রব। তিনি বলেন, ‘আজ দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালত মামলাটি এফআইআরমূলে গ্রহণের আদেশ দিয়েছেন।’

মামলায় যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন- কতোয়ালী মডেল থানার সহকারী কমিশনার মিজানুর রহমান, বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কল্লোল গোস্বামী, কতোয়ালী মডেল থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈন উদ্দিন, ওসি তদন্ত ফজলুর রহমান, উপপরিদর্শক (এসআই) কাজী রিপন আহমদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি আফতাব উদ্দিন খান, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ সভাপতি পীযৃষ কান্তি দে, সরকারী কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি ও ৩২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহেল আহমদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সজল দাস অনিক, শিবলু আহমদ, সেলিম মিয়া, আজহার, ফিরোজ ও উজ্জ্বল।

এর আগে আবুল হাসান মো. আজরফ (জাবুর) তাঁর ভাই হত্যার ঘঁনায় কতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করলেও পুলিশ এটিকে জিডি হিসেবে গ্রহন করে।

আদালতে মামলা দায়ের করে আবুল হাসান মো. আজরফ (জাবুর) বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে তাঁর ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। থানায় মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশ এটিকে মামলা হিসেবে গ্রহন করেনি। তাই ন্যায় বিচারের স্বার্থে তিনি আদালতের স্বরানাপন্ন হয়েছেন।

উল্লেখ্য যে, গত ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর সিলেট নগরীর বন্দরবাজারে পেশাগত দায়িত্বপালনকালে পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন তুরাব। এরপর হাসপাতালে নেয়া হলে তিনি মারা যান। তাঁর শরীরে ৯৮টি স্প্লিন্টার পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছিলো ওসমানী হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ।


এএফ/০৮