সিলেট মিরর ডেস্ক
অক্টোবর ১৫, ২০২৪
০১:২৫ অপরাহ্ন
আপডেট : অক্টোবর ১৫, ২০২৪
০১:৫১ অপরাহ্ন
প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ টাকায় মেরামত করে সচল করা হয়েছে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মধ্যে হামলার শিকার মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ স্টেশন। অন্তত ৮৮ দিন বন্ধ থাকার পর আজ সকাল থেকে স্টেশনটিতে ট্রেন থামছে এবং যাত্রীরা ওঠানামা করছেন।
আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) স্টেশন পরিদর্শনে এসে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সাংবাদিকদের জানান, মিরপুর-১০ স্টেশন চালু করতে খরচ হয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। যেহেতু অন্যান্য স্টেশনগুলো থেকে অনেক যন্ত্রাংশ এনে এখানে সংযোজন করা হয়েছে, তাই সেসব যন্ত্রাংশ আমদানিসহ আমাদের দুই স্টেশনে মোট খরচ হবে ১৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। সেখানে আরও কিছু বেশি যন্ত্রাংশও থাকবে। এছাড়া গত ২০ সেপ্টেম্বর ২২ লাখ টাকার প্রাথমিক ব্যয়ে কাজিপাড়া স্টেশনটি চালু করা হয়।
ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মধ্যে গত ১৯ জুলাই মিরপুরের-১০ নম্বর এবং কাজীপাড়া স্টেশনে ভাঙচুর হয়। এতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। ২৭ জুলাই তখরকার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দাবি করেছিলেন, স্টেশন দুটি সচলে ৩৫০ কোটি টাকা লাগবে। চালু করতে এক বছরেরও বেশি লাগতে পারে। তবে মাত্র ২ মাস পরেই গত ২০ সেপ্টেম্বর কাজীপাড়া স্টেশন চালু করা হয়েছে।
ফাওজুল কবির খান জানান, মেট্রোস্টেশন আন্দোলনকারী ছাত্ররা ভাঙচুর করেনি। যারা স্টেশন ভাঙচুর করেছে তাদের সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশকে দেওয়া হয়েছে।
মেট্রোরেলের নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সরকারি কোম্পানি ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলছেন, কোনো সরঞ্জাম আমদানি না করে দেশীয় সম্পদের ব্যবহার করেই স্টেশন সচল করা হয়েছে। এ ছাড়া যাত্রীচাপ তুলনামূলক কম থাকা তিনটি স্টেশন থেকে কিছু যন্ত্রাংশ খুলে লাগানো হয়েছে মিরপুর ১০ স্টেশনে। বাকি যন্ত্রাংশ আমদানি করতে হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ সম্পন্নে মাস তিনেক সময় লাগবে।
এএফ/০২