এনটিসির ১৬ চা-বাগানে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি

কমলগঞ্জ সংবাদদাতা


অক্টোবর ২২, ২০২৪
০১:০৪ পূর্বাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ২২, ২০২৪
০১:০৪ পূর্বাহ্ন



এনটিসির ১৬ চা-বাগানে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি


বকেয়া মজুরির দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ন্যাশনাল টি কম্পানির (এনটিসি) চা শ্রমিকরা।

সোমবার (২১ অক্টোবর) সকাল থেকে দেশের এনটিসির ১৬টি চা-বাগানের শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেছেন।

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে এনটিসির বিভিন্ন চা-বাগানের শ্রমিক নেতারা গত রবিবার বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে সোমবার থেকে এই কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেন।

বাগানের  চা শ্রমিকদের ভাষ্য মতে, শ্রমিকদের পাঁচ সপ্তাহের মজুরি বকেয়া আছে।

মজুরি না পেয়ে অর্থকষ্ট নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন তারা। মালিকপক্ষ বকেয়া মজুরি পরিশোধ না করলে তারা কাজে ফিরবেন না।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন জানিয়েছে, সারা দেশে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ন্যাশনাল টি কম্পানির ১৬টি চা-বাগান আছে। এসব বাগানে প্রায় ১৭ হাজার চা শ্রমিক কাজ করেন।

তাদের ওপর আরো ৩০ হাজার মানুষের ভরণপোষণ নির্ভর করে। সোমবার সকালে মাধবপুর, পাত্রখোলা, পদ্মছড়াসহ ন্যাশনাল টি কম্পানির আওতাধীন বাগানের শ্রমিকরা কাজে যোগদান না করে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফ্যাক্টরির সামনে কর্মবিরতি শুরু করে। এতে করে বাগানগুলোতে চা-পাতা উত্তোলন বন্ধ রয়েছে।

কমলগঞ্জের পদ্মছড়া চা-বাগানের বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি কৃষ্ণলাল দেশোয়ারা বলেন, ‘আমাদের শ্রমিকদের ঘরে খাবার নেই।

তারা অনেক কষ্ট করে চলছেন। এখন পেটে খিদা নিয়ে শ্রমিকরা কাজ করবেন কিভাবে?’ 

চা শ্রমিকদের কর্মবিরতির কর্মসূচিতে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সমর্থন আছে বলে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমলগঞ্জ উপজেলার এনটিসির এক ব্যবস্থাপক জানান, শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি না দেয়ায় তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। টাকা না থাকায় শ্রমিকদের পেমেন্ট দেওয়া যাচ্ছে না। জরুরি ভিত্তিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশাবাদী।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল টি কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক এমদাদুল হক সাংবাদিকদের জানান, শ্রমিকদের মজুরি দেওয়ার জন্য তারা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের পরিচালনা পর্ষদ পূর্ণাঙ্গ পুনর্গঠন না হওয়ার কারণে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ পেতে সমস্যা হচ্ছে। আশা করছেন, শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ পরিচালনা পরিষদ গঠন হবে এবং শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধ করতে পারবেন।

তিনি আরো বলেন, এখন চা-বাগানগুলোতে উৎপাদনের সময়। এখন যদি শ্রমিকরা কর্মবিরতিতে যান, তাহলে চা-বাগানের অনেক ক্ষতি হবে।

 

এএফ/০১